রাষ্ট্রীয়ভাবে পাওয়া দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উপহার সামগ্রী সংরক্ষণে তোশাখানার জন্য নিজস্ব ভবনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের পাশে আধুনিক রাষ্ট্রীয় তোশাখানা ভবন উদ্বোধন করেন তিনি।

৫০ হাজার বর্গফুট জায়গার ওপর পাঁচতলা তোশাখানা ভবনটি নির্মিত হয়েছে সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায়, যাতে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৮০ কোটি টাকা। তোশাখানার তত্ত্বাবধানে রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।এই তোশাখানায় বাংলাদেশের সব রাষ্ট্রপতি,প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পাওয়া সব পুরস্কার রাখা হবে। তোশাখানাটি জনসাধারনের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্জন প্রদর্শিত হোক, মানুষ জানুক।এর মাধ্যমে নিজের দেশকে মানুষ জানতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। এক সময় এটা খুবই দর্শনীয় জায়গা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রীয়ভাবে পাওয়া দেশি-বিদেশি উপহার সামগ্রী সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেন। তার নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে একটি বিধিমালা প্রণয়ন করা হয় এবং বঙ্গভবনে তোশাখানা স্থাপন করা হয়।এরপর এই প্রথম নিজস্ব ভবনে এল তোশাখানা।

বঙ্গবন্ধুর ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা শুধু রাষ্ট্রই দিয়ে যাননি, আমাদের মর্যাদাও দিয়ে গেছেন। সেই মর্যাদা আমাদের রক্ষা করতে হবে। তাই দেশকে আমাদের গড়ে তুলতে হবে।ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে এ দেশকে গড়ে তুলতে হবে। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।গত ১০ বছর সরকার প্রধানের দায়িত্বে থাকা শেখ হাসিনা বলেন, “এটুকু দাবি করতে পারি যে, আজকে বাংলাদেশ অনেক পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে। আমরা চাই, আরও উন্নত হোক।২০২০ সালে আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করব, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। সুবর্ণজয়ন্তী যখন উদযাপন করব আমি চাই বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত থাকুক। উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলব, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন প্রমুখ।অন্যদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ছোটমেয়ে শেখ রেহানা,মন্ত্রিসভার সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।