বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহসাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমাসহ সাত জনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকার মহানগর হাকিম শত্যব্রত শিকদার শুনানি শেষে এ রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ড পাওয়া অপর আসামিরা হলেন— মো. ইউনুস মৃধা (৬১), মো. আবুল হাশিম সবুজ (৪৮), মো. মামুন আর রশিদ (৩৮), মো. আমির হোসেন(৪০) ও মো. মহাসিন (৪৮)।

গত বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের একটি মামলায় আদালত আসামিদের এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক কামরুল ইসলাম আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেছিলেন।

আসামি পক্ষের বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী ও সানাউন্নাহ মিয়াসহ প্রমুখ আইনজীবী রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেন। শুনানিকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী নিপুন রায় চৌধুরীর বাবা এবং গয়েশ্বর রায় চৌধুরী নিপুন রায়ের শ্বশুর।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধার পর পল্টনের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে নিপুন রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর আসামিদের বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। নিপুন রায়ের সঙ্গে কণ্ঠশিল্পী বেবি নাজনীন গ্রেপ্তার হলেও পরে রাতেই তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

গত বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের অন্তত ২০ জন এবং বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। ওই ঘটনায় পুলিশ পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলাগুলোয় বৃহস্পতিবার ৩৮ জনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে অপর ২৭ আসামির রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের সাত কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবস জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।

মামলায় অভিযোগ, গত বুধবার বেলা ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে নয়াপল্টনস্থ ভিআইপি রোডে হকস বে নামীয় গাড়ির শো রুমের উত্তর পাশে রাস্তায় আসামিরা বিএনপির পার্টি অফিস থেকে লাঠি-সোটা নিয়ে রাস্তায় দাঙ্গা করে পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা কয়েকটি ককটেলও নিক্ষেপ করে। ওই সময় পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানসহ দুটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এতে পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তা, দুজন আনসার সদস্যসহ ২৩ পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় বাঁশ হাতে দেখা গিয়েছিল নিপুণ রায় চৌধুরীকে।