জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে সেটা নির্ভর করে নির্বাচনকালীন সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের উপর। যেখানে নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতিত্ব আচরণ করে সেই নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। এজন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার পদত্যাগ চাই। রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরামের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি পদে বিশ্বাসযোগ্য কাউকে বসানোর আহ্বান জানিয়ে ড. কামাল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মূল কাজ হলো নির্বাচনের সুন্দর পরিবেশ তৈরি করা। কিন্তু কমিশন এখনও সেই পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইভিএম দিয়ে আবার প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। কারণ এটি রিলায়েবল (বিশ্বাসযোগ্য) না। ইভিএমে এক প্রতীকে ভোট দিলে অনেক সময় সেটা অন্যটায় চলে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে সেটা শনাক্ত করাও সম্ভব নয়। এসব কারণে আমরা বেশিরভাগ দল কিন্তু এটার বিপক্ষে কথা বলে আসছি।
সংবাদ সম্মেলনে এর আগে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।

এসময় তিনি বলেন, গণভবন, মন্ত্রীদের বাসভবন, সরকারি অফিস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
সুব্রত চৌধুরী বলেন, নির্বাচনকালে দেশের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের পুরোপুরি কর্তৃত্বের মধ্যে থাকে। কিন্তু প্রশাসনিক কর্মকর্তা, নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আইন বহির্ভূতভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিরোধী পক্ষের ওপর হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার ও বাড়িঘর তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে। এমনকি নির্বাচনে যারা প্রার্থী হবেন তাদেরও উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, সরকারি দলের প্রার্থী, এমপি-মন্ত্রীরা দাপটের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন তাদের প্রটোকলসহ সার্বিক সহযোগিতা করছে। অন্যদিকে বিরোধীদলীয় প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় তাদের কর্মীদের ঘরোয়া বৈঠক, সভা-সমাবেশেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।