সন্ধ্যা হলেই রাজধানীর ফুটপাতে জ্বলে ওঠে বৈদ্যুতিক লাইট। স্থানীয় প্রভাবশালী ও এক শ্রেণির দালাল এসব বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ দিয়ে চুটিয়ে অবৈধ ব্যবসা করছে। পকেট ভরছে ডিপিডিসির এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ ডিসিসির কর্মকর্তা এবং স্থানীয় মাস্তানরা। ঢাকার কয়েক লাখ হকার ফুটপাতে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে তার পুরোটাই অবৈধ সংযোগ বলে বিবেচিত। ফুটপাতে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য মিটারের ব্যবস্থা নেই। তাই কতটুকু বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে তার কোনো হিসাবও নেই। যদিও ডিপিডিসির পরিচালক (অপারেশন) এটিএম হারুন অর রশীদ মুঠোফোনে ফোকাস বাংলা নিউজের কাছে দাবি করেছেন, ঢাকার ফুটপাতে এখন আর কোনো অবৈধ সংযোগ নেই। ঢাকার প্রতিটি এলাকার ফুটপাতে আলাদা আলাদা মিটার বসানো হয়েছে। ডিপিডিসির প্রকৌশলী, লাইনম্যান এবং টাস্কফোর্স প্রতিনিয়ত এসব এলাকা মনিটরিং করছে। সূত্রমতে, শুধু ঢাকা শহরেই ডিপিডিসির (ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি) সরবরাহকৃত বিদ্যুতের ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ অবৈধভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর এ অবৈধ বিদ্যুতের অধিকাংশই ব্যবহার করা হচ্ছে রাতের বেলায় ঢাকার ফুটপাতে।জানাগেছে,১ হাজার ৫২৯ বর্গ কিলোমিটারের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ১৬৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ফুটপাত। এসব ফুটপাতে সন্ধ্যা হলে লাখ লাখ বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বলে ওঠে এবং চলে গভীর রাত পর্যন্ত। অনুসন্ধানে জানা গেছে, মগবাজার ওয়্যারলেস রেলগেট সংলগ্ন ফুটপাত, মধুবাগ, মালিবাগ রেলগেট, তেজঁগাও শিল্পাঞ্চলের ফুটপাত, খিলগাঁও জোড়াপুকুর মাঠ সংলগ্ন ফুটপাত,তিলপাপাড়া, রামপুরা,ফকিরাপুল বক্স কালভার্ট রোড, কমলাপুর বক্স কালভার্ট রোড এবং জুরাইন রেল লাইনের দু’পাশের এলাকায় প্রভাবশালী ও দালালচক্র বিদ্যুতের অবৈধ ব্যবসা করে ফুটপাতের দোকানগুলোকে আলোকিত করে রেখেছে। তাছাড়া গোড়ান, নন্দীপাড়া,গোলার বাড়ী,মেরাদিয়া,নাসিরাবাদ, ত্রিরমহনী,সিপাইবাগ,জুড়াইন ,যাত্রাবাড়ি, শ্যামপুর,মিরহাজারীবাগ,কামরাঙ্গীর চর এলাকাগুলোতে চলছে যানবাহনের ব্যাটারীচালিত চার্জার। এতে করে ব্যাপক হারে বিদ্যুৎ অপচয় হওয়ায় সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।এদিকে, ডিপিডিসির মগবাজার ডিভিশনের নিবার্হী প্রকৌশলী শাহ আলম মিয়া শোনালেন ভিন্ন কথা ।তিনি বলেন, মগবাজার ডিভিশনের আওতাধীন কোথাও অবৈধ সংযোগ আছে কি না আমার জানা নেই। তবে এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণী লাইনের অনেক ত্র“টি রয়েছে। আর এ ত্র“টিযুক্ত লাইন দিয়েই জোড়াতালিতে কাজ চলছে। ফুটপাতের বেশিরভাগ সংযোগই অবৈধ সংযোগের জন্য ঢাকার কয়েকটি এলাকায় দালাল নিয়োগ করা আছে। তারাই নিজ নিজ এলাকার সংযোগ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এজন্য তাদেরকে কয়েক গুণ বেশি টাকা দিতে হয়। যেমন, একটি ২০ ওয়াটের এনার্জি সেভিং বাল্ব রাতে পাঁচ ঘণ্টা জ্বললে মাসে দুইশ টাকার বেশি বিল হওয়ার কথা নয়। কিন্তু ফুটপাতে জ্বালানোর জন্য প্রতিদিন দিতে হয় বাল্ব প্রতি ৩০ টাকা। অর্থাৎ মাসে ৯শ টাকা। এই বাড়তি টাকা যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট দালাল, প্রভাবশালী, বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডিসিসির কর্মকর্তা ও স্থানীয় মাস্তানদেরপকেটে।তবে কিছু কিছু বৈধসংযোগও রয়েছে।অন্যদিকে ডিপিডিসির সূত্র দাবী করেছেন,প্রতিষ্ঠানটির প্রধানকার্যালয়ের টাস্কফোর্স প্রতিনিয়ত অবৈধ সংযোগ,বাইপাস,মিটার টেম্পারিংসহ বিবিধকাজ করায় জরিমানার আদায়ের পরিমাণ অনেকাংশে বেড়েছে।
সাম্প্রতিক
বার্তা-মঞ্চ
চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও রূপকল্প ২০৪১
আমাদের জানা আছে যে আদি যুগে পৃথিবীতে মানুষ শুধু কৃষি বা প্রকৃতির উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করতো। ৩০০ বছর আগেও অর্থনীতি ও মানুষের...
বিনামূল্যে ইন্টারনেট দিচ্ছে বাংলালিংক
দেশের অন্যতম উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক সর্বস্তরের মানুষের ডিজিটাল জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত করার লক্ষ্যে ফোর-জি ও ফাইভ-জি স্মার্টফোন ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।...
রিয়েলমি সি৬৭ স্মার্টফোন কিনে ১ লাখ টাকা পুরস্কার জিতলেন রিয়েলমি গ্রাহক
প্রি-বুক রিয়েলমি সি৬৭ ক্যাম্পেইনে অংশ নেওয়া ভাগ্যবান একজন বিজয়ীকে এক লাখ টাকা পুরস্কার প্রদান করেছে তরুণদের জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি। রিয়েলমি স্মার্টফোন কিনে একটি আকর্ষণীয়...
রোজায় সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য ইফতার আয়োজনে রিয়েলমি
পবিত্র রমজান মাসে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সঙ্গে ইফতার ভাগাভাগি করার অনন্য এক উদ্যোগ নিয়েছে তরুণদের জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি। অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘টুগেদার ফর বাংলাদেশ’- এর...
ব্র্যাককে ডিজিটাল সেবা দিবে বাংলালিংক
দেশের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক ও বিশ্বের সর্ববৃহৎ বেসরকারি সংস্থা, ব্র্যাক এর ভেতর একটি হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে ব্র্যাক-এর কর্মীরা বাংলালিংক-এর বিভিন্ন...