আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচ‌নে নিজের নির্বাচিত ঢাকা-১৩ (মোহাম্মদপুর-আদাবর) আসনে নৌকা থেকে এবার মনোনীত প্রার্থী সাদেক খানকে সমর্থন জানিয়েছেন এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। সকল দ্বন্দ ও সংঘাতকে ছাপিয়ে ও ভেদাভেদ ভুলে নৌকার পক্ষে এক হয়ে কাজ করতে এক হয়েছেন তারা। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাদেক খানকে সমর্থন জানানোর বক্তব্যে আবেগে আপ্লুত হয়ে কাঁদলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।

এ সময় দল থেকে মনোনীতপ্রার্থী সাদেক খানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও কান্নায় ভেঙে পড়েন। আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে নানক বলেন, নৌকার বিজয় নিশ্চিতে মাঠে থাকতে হবে। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন মাঠে থাকার। একইসঙ্গে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মোহাম্মদপুর-আদাবরের মানুষের পাশে থাকবেন বলে ঘোষণা দেন। ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকাকে বিজয়ী করার কথা দেওয়া আবেগঘন বক্তব্যে মুগ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী সাদেক খান বলেন, আমার বড় ভাই যে বক্তব্য সবার সামনে দিয়েছেন, আমাকে বুকে তুলে নিয়েছেন এর জন্য আমি ওনাকে স্যালুট জানাই। নানকের পক্ষে নেতাকর্মীরা বলেন, দুর্দিনের নানক ভাই আমরা তোমায় ভুলি নাই, নানক ভাই হারে নাই।

নবম ও দশম জাতীয় সংস‌দ নির্বাচ‌নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ‌ঢাকা-১৩ আস‌নের সংসদ সদস্য নির্বা‌চিত হন নানক। আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে কে হবেন নৌকার মাঝি তা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই নানক ও সাদেক খানের মধ্যে শীতল লড়াই চলছিল। সেই শীতল লড়াই পরে সংঘাতের রুপ নেয়। চলতি মাসে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র বিতরণের শুরুর দিন যা প্রকাশ্য রুপ নেয়। ওই দিন মনোনয়নপত্র তোলাকে কেন্দ্র করে সংঘাতে লিপ্ত হয় নানক ও সাদেক খানের কর্মীরা। সেই ওই দুই পক্ষের সংঘাতে ২ জন নিহত হন। তাদের দুই জনের এমন এক হয়ে যাওয়ায় ঢাকা-১৩ আসনেরে নির্বাচনী রাজনীতি নতুন মাত্রা পেল। এর আগে সোমবার বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে অঝোরে কেঁদেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।