বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমাদের দাবী পূরণ হতে যাচ্ছে। সেটা হল বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্রের মুক্তি। আমার ভোট আমি দেব। লড়াই করে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেব। কারো সাধ্য নেই ও সাহস নেই ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্রে এসে পছন্দমত প্রার্থীকে ভোট দেয়া থেকে বিরত রাখা।

এবার দেশের নারী-পুরুষ অবলিলাক্রমে তারা তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। কোন ভয়ভীতি সংকা কাজ করবে না। যতই অপ কলা কৌশল করা হোক না কেন, যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন, যত রকমের ফন্দি-ফিকির করা হোক না কেন বাংলাদেশের মানুষ ধানেরশীষে ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্বার জোয়ারের শক্তি সৃষ্টি করবে। ৩০ ডিসেম্বর দেশে ধানের শীষে একটি নিরব ভোটের বিপ্লব ঘটবে। ভাই-বোনেরা, কৃষক ভাইয়েরা, গৃহিনীরা, দেশের আপামরজনতা দশ বছরের এ সরকারের অপশাসন-কুশাসন, দুর্বিচার, আইনের শাসনের পরিবর্তে দলীয় শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরন, মানুষের ভোটের অধিকার হরন এ সবের বিরুদ্ধে ব্যালটের মাধ্যমে রায় দেবে। নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে পাবে। আমরা অসভ্যতার পরিবর্তে সভ্যতা ফিরিয়ে আনব। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব। সত্যিকার অর্থে রাজনৈতিক গণতন্ত্র চর্চা আমরা শুরু করব। মওদুদ আহমদ বিগত ৫ বছর পর সোমবার তার নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে ব্যাপক শো-ডাউনের মাধ্যমে বসুরহাট বাজার ও কবিরহাট বাজারে গণসংযোগ করেন। তিনি গণসংযোগ শেষে বসুরহাট রেজিষ্ট্রি অফিসের সামনে এসব কথা বলেন। পরে তিনি নোয়াখালী জেলা কারাগারে গিয়ে আটক নেতাকর্মীদেরকে দেখতে যান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী আবদুল হাই সেলিম, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম, পৌরসভা বিএনপির সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র কামাল উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা যুবদল দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান টিপু, পৌর যুবদলের সভাপতি শওকত হোসেন ছগির, নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান মোঃ নোমান, বসুরহাট পৌরসভা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল হক আরিফ প্রমূখ।

মওদুদ আহমদ আরো বলেন, আমি ৫ বছর পর জন সম্মুখে হাজির হয়েছি। গত ৫ বছর ছিল নির্বাচনী এলাকায় একটি বেদনাদায়ক অধ্যায়। দেশের জাতীয় রাজনীতি এবং নোয়াখালী-৫ আসনে নির্বাচনী এলাকার জন্য এটা ছিল একটি কালো অধ্যায়। এ সময় দুঃসহ জীবন যাপন করেছে এ এলাকার মানুষ। এ সরকার দমন করার জন্য শুধু বিরোধীদল নয়, সর্বস্তরের মানুষের ওপরে চালানো হয়েছিল নির্মম অত্যাচার নির্যাতন। এখানে আমার হাজার হাজার কর্মিরা এমন কেউ নেই যার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়নি। যার বিরুদ্ধে পুলিশী পরোয়ানা জারি করা হয়নি, পুলিশ বাড়িতে গিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানী করেনি। শুধুমাত্র সরকারের মদদে সব করছে পুলিশ। এক সময় এ নির্বাচনী এলাকা অত্যান্ত সুনামের এলাকা ছিল। এখানে রাজনৈতিক চর্চা এবং সংস্কৃতি চর্চা ছিল। গত ৫ বছরে সম্পূর্ণ চর্ণ-বিচুর্ণ করে দেয়া হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে আমার অনেক কিছু বলার আছে। এ মুহুর্তে আমি বলব না। কিন্তু এটুকু বলব আসুন, আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের কাজ সম্পন্ন করি। আজকে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে যে শতস্ফুর্ততা দেখলাম, তাতে আমার বদ্যমূল ধারণা হয়েছে জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় হবে। সরকারী দল এ এলাকাবাসীর পরিবার, সন্তানদের, সম্পত্তি, ব্যবসা ও চাকুরির ওপর অত্যাচার, নির্যাতন করেছে, এর প্রতি উত্তর এ এলাকার মানুষ আগামী নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দেবে। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, গত রাত থেকে অনেক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, উপজেলা সদরে বিভিন্ন এলাকা থেকে দলীয় নেতা-কর্মীরা আমাকে দেখতে আসার পথে বাধা দেওয়া হয়েছে। আসা ও যাওয়ার সময় শতাধিক বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে সরকার দলীয় ক্যাডারেরা পিটিয়ে আহত করেছে। তাদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ভাংচুর করে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।