গাজীপুরের ৫টি আসনে মঙ্গলবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আরো ১৪জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত আওয়ামীলীগ ও বিএনপি মনোনীতসহ মোট ২৩ জন প্রার্থীতার জন্য তাদের মনোনয়নপত্র জমা এবং ৫২জন মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন।

গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তারেফুজ্জামান জানান, গাজীপুরের ৫টি আসনের মধ্যে মঙ্গলবার গাজীপুর-১ আসনে (জাতীয় সংসদের আসন নং-১৯৪) আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির আব্দুল মজিদ ও তরিকত ফেডারেশনের মোঃ হাসান উদ্দীন তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত এ আসনে মোট ৫জন তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ আসন থেকে এ পর্যন্ত ১০জন মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন।

গাজীপুর-২ আসনে (জাতীয় সংসদের আসন নং-১৯৫) একইদিন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির জিয়াউল কবীর। এ নিয়ে এ পর্যন্ত এ আসনে মোট ২জন তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এবং ১০জন মনোনয়নয়নপত্র উত্তোলন করেছেন।

গাজীপুর-৩ আসনে (জাতীয় সংসদের আসন নং-১৯৬) আওয়ামীলীগের ইকবাল হোসেন, জাকের পার্টির মোঃ নাসির উদ্দীন, জাসদ’র জহিরুল হক মন্ডল (বাচ্চু) ও তরিকত ফেডারেশনের রফিকুল ইসলাম তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত এ আসনে মোট ৫ জন তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এবং ১১জন মনোনয়নয়নপত্র উত্তোলন করেছেন।

গাজীপুর -৪ আসনে (জাতীয় সংসদের আসন নং-১৯৭) এদিন বাংলাদেশের কমিউনিস্টপার্টির মানবেন্দ্র দেব, জাকের পার্টির জুয়েল কবীর ও স্বতন্ত্র্য প্রার্থী মনির হোসেন তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত এ আসনে মোট ৭ জন তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এবং ১১জন মনোনয়নয়নপত্র উত্তোলন করেছেন।

গাজীপুর-৫ আসনে (জাতীয় সংসদের আসন নং-১৯৮) এদিন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকি ও জাকের পার্টির আমিনুল ইসলাম মাহমুদ। এ নিয়ে এ পর্যন্ত এ আসনে মোট ৪ জন তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এবং ৭জন মনোনয়নয়নপত্র উত্তোলন করেছেন।

এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী শহীদ ময়েজউদ্দিন আহমেদের কন্যা মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি মঙ্গলবার বিকেলে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানের নিকট তার মনোনয়নপত্র জমা দেন।

প্রতিমন্ত্রী চুমকি মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বলেন, আমার বাবা শহীদ ময়েজউদ্দিন এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এবং বৃহত্তর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৪ সালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে তিনি কালীগঞ্জের মাটিতেই শহীদ হয়েছিলেন। বাবার আদর্শ বুকে ধারণ করে আমি এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে চলেছি। নারী ও যুব সমাজের ক্ষমতায়নে কাজ করছি। আধুনিক ও উন্নত কালীগঞ্জ গড়তে সড়ক যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, অবকাঠামোসহ সব ক্ষেত্রে উন্নয়নকাজ চালিয়ে যাচ্ছি। শিল্প-কারখানা স্থাপন ও কর্মসংস্থানে ভূমিকা পালন করছি। অবহেলিত কালীগঞ্জে এখন একের পর এক স্থাপিত হচ্ছে শিল্প-কারখানা।