নীলফামারীতে ভিশন ২০২১ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আয়োজনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েদের ছড়া,আবৃত্তি,কবিতা লেখা,গানের প্রতিযোগীতার মাধ্যমে খুদে কবিদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার(২৭শে নভেম্বর)দিনব্যাপী জেলা সদরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় । এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর । এ সময়ে আসাদুজ্জামান নূর অভিভাবকদের উদ্যেশ্যে বলেন, শিশুদের তাদের মতো করে বড় হতে দিতে হবে। তারাা যা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে, সেটা তাকে তার মতো করে করতে দিতে হবে। সবাই লেখাপড়া করবে, সবাই উন্নত সুন্দর জীবন যাপন করবে, যেখানে থাকবে নাটক, কবিতা, খেলাধুলা। সবাই মিলে আমরা একটা চমৎকার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। তিনি আরো বলেন,২০১৫ ও ১৬ সালে আমরা ১৬ হাজার খুদে কবি পেয়েছিলাম, এবার আমাদের খুদে কবির সংখ্যা প্রায় সাড়ে ২২ হাজার। এটা দেশে নতুন ইতিহাস ।

এইদিনে খুদে কবিদের দেখতে অতিথি হিসেবে রাজধানী হতে ছুটে আসেন, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, কথা সাহিত্যিক দৈনিক কালেরকন্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, কথা সাহিত্যিক আখতার হুসেন, সুজন বড়ুয়া, অভিনয় শিল্পী নুসরাত ইমরোজ তিশা,পাঞ্জেরির সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল হাসান , জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও ক্রিকেটার আশরাফুল ইসলাম এবং যাদু শিল্পী শাহীন শাহ । ছিলেন আসাদুজ্জামান নুর এর সহধর্মীনী ডাঃ শাহীন আক্তার।

খুদে শিশুরা সকল অতিথিদের বরন করে নেয় “আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর” গানটি দিয়ে। এরপর জাতীয় সঙ্গীত গান গায় সব বয়সী মানুষ মিলে। পরে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সহ সকল অতিথিগণ এবং খুদে কবিদের কবিতা নিয়ে প্রকাশিত “আমরা নবীন আমরা কিশোর” বইয়েরও মোড়ক উন্মোচন করেন তারা।
খুদে কবিদের সমাবেশে সকল অতিথিরা বক্তব্য রাখলেও অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভিশন ২০২১ নীলফামারীর প্রধান সমন্বয়ক ওয়াদুদ রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রাসেল আমিন স্বপন ও মাসুদ সরকার।
সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক ওয়াদুদ রহমান জানান,এবার ২০১৮ সালে জেলা সদরের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক ৪৩৫টি বিদ্যালয়ের ২২ হাজার ৩৩৮ জন শিক্ষার্থীর ছড়া ও কবিতা লিখন প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করেন। রাজধানী ঢাকার বড় বড় কবি ছড়াকার ও সাহিত্য স¤পাদকরা এসব কবিতা পড়েছেন। যাচাই-বাছাই করেছেন। এ পর্যায়ে সংখ্যাটা কিছু কমে গেলেও, ৪৫৭ জনের নিচে নামেনি! প্রতিযোগীতার মধ্য দিয়ে উঠে আসা এই কবিদের প্রত্যেককে পুরস্কৃত করা হয় সমাবেশে।

মহিনুল ইসলাম সুজন,বিশেষ প্রতিনিধি।