আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে বুধবার তালেবানকে লক্ষ্য করে চালানো যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৩০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।ন্যাটো নেতৃত্বাধীন আফগান বাহিনী এ হামলায় বেসামরিক লোক নিহতের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।হেলমান্দের প্রাদেশিক গভর্নর মোহাম্মদ ইয়াসিন খান রয়টার্সকে বলেছেন, বিমান হামলায় তালেবান সদস্যদের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষেরও প্রাণহানি ঘটেছে।এরপর গতকাল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা সংস্থা জিফোরএসের সুরক্ষিত ক্যাম্পে বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন আরো ১৯ জন। তালেবান এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির শান্তি পরিকল্পনা জানানোর কয়েক ঘণ্টার মাথায় এ হামলা চালানো হলো। কাবুল থেকে দেশের পূর্বাঞ্চলের দিকে যেতে প্রধান সড়কের পাশে জিফোরএসের কম্পাউন্ড।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাজিব দানিশ জানান, প্রথমে এর বাইরে গাড়িবোমার বিস্ফোরণ ঘটে, পরে কয়েকজন বন্দুকধারী ক্যাম্পটির ভেতরে ঢুকে পড়ে।এমন সুরক্ষিত একটি স্থাপনায়ও এই হামলা প্রমাণ করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান সরকারের চেষ্টা সত্ত্বেও কাবুল কতটা অনিরাপদ। অথচ ১৭ বছরের যুদ্ধ শেষে তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে তড়িঘড়ি করছে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান সরকার।

আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামদুল্লাহ মোহিব এই হামলাকে অনাকাঙ্খিত এবং শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহতকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় জেনেভায় একটি সম্মেলনে যোগদানকালে তিনি এমনটি বলেন। প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিও তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রতি জোর দিয়ে সেখানে বক্তব্য দেন।তালেবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ অবশ্য এ হামলাকে দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ ও কান্দাহার প্রদেশে বিমান হামলায় হতাহতদের ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।অন্যদিকে জিফোরএস বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর একটি, আফগানিস্তানে যুক্তরাজ্যের দূতাবাসসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্বে রয়েছে সংস্থাটি। জিফোরএসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, কাবুলে আমাদের স্থাপনা হামলার শিকার হয়েছে, আমরা আফগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, তবে এখনই বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।