ভারতবর্ষে বৃটিশের আগমনের আগ পর্যন্ত রাজকীয় বিলাসিতা ও রমান্টিক যৌনতার ওপর যে বন্যা বয়ে চলেছিলো এবং সেই যৌনতাকে এরোটিক আকারে খোদায় করে সর্বকালে সর্বজনের আকর্ষন কেড়ে নিতে বিখ্যাত বিখ্যাত নামকরা পরিচিত বিল্ডিং-এর দেওয়ালে এখনও নিদর্শন সরুপ সারিবন্ধ ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা হয়েছ, যা ইন্ডিয়া ভ্রমনে গেলে এখনো চোখে পড়ে। জানা মতে বৃটিশের আগমনের পর এরোটিক যৌনতার বিলপ্তি ঘটতে শুরু হয় যা আজকের যুগে সুধু নিষিদ্ধ নয় মনে হচ্ছে সুর্য যেমন মেঘে ঢাকা পড়ে, ঠিক যুগের পরিবর্তনের সাথে যৌনতারও তেমনি করে ঢাকা পড়েছে, তাই সুধু ভারত নয় বাংলাদেশেও সেক্স বা যৌনতার ওপর কথা বা আলোচনা বন্ধ রয়েছে আজও। মানবজাতির বায়োলজিক্যাল একটিভিটিসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এট্রাকশন বা বিনোদন তা হোল সেক্স এবং যা মানবজাতির মনের মধ্যে প্রতি মিনিটে জানতে বা অজান্তে বিরাজ করছে ভাবনায় কিন্তু তার বহিপ্রকাশ হচ্ছে শুধু অন্ধকারে নির্বিগ্নে, নিরিবিলি ও নিরাময়ে। মনে হচ্ছে কথা কম কাজ বেশি তাইতো ঘরে ঘরে মানবজাতির সংখ্যা বেড়ে চলছে দিনের পর দিন।

মজার ব্যপার তা হোল পৃথিবীর কোনো কাজ নেই যা মানব জাতি প্রশিক্ষণ ছাড়া উন্যতির শীর্শে উঠতে সক্ষম হয়েছে, যেমন ডাক্তার, ইন্জীনিয়ার, ব্যাংকার, কৃষক যাই ধরিনা কেন, এর পিছনে রয়েছে প্রশিক্ষণ কিন্তু সেক্সের ওপর কোনো ধরণের প্রশিক্ষণ বা আলাপ আলোচনা ছাড়ায় চলছে সেক্স তার নিজের গতিতে, পাশাপাশি ডিজিটালের যুগে সেক্সের ওপর খুলেছে গুগোল সেক্স এরোটিক বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে দেধারছে সর্বস্তরের শিক্ষার্ত্রীর আনাগোনা চলছে, কোনো শিক্ষক ছাড়া এবং এই শিক্ষাকে কাজে লাগাতে কেও সমাজের নিয়ম কানুন ভাঙ্গছে কেওবা স্বপ্নের রাজ্যে রাজত্ব করছে। আমাদের জন্মের শুরুতে আমরা সম্পুর্ণ ভাবে পরিপূর্ণতায় জন্মেছি এবং কোনো কাপড় ছাড়া মানে ন্যাংটা অবস্থাতে। মৃত্যুর আগপর্যন্ত নতুন কিছুই শরীরে আসেনি শুধু চিন্তাধারার পরিবর্তন এবং হরমোনের আবির্ভাব ছাড়া এবং দৈহিক গঠনের পরিবর্তন যা ছোট ছিলো তা সাইজে বড় হয়েছে মাত্র। আমরা ছোটবেলার মত ন্যাংটা ভাবে চলাফেরা করিনে তাই কাপড় পরি, কিন্তু কাপড়ের তলে আমরা সবাই ন্যাংটা এ বিষয় নিশ্চিত। হঠাৎ কী হোল যার কারণে আমরা কাপড় পরতে শুরু করলাম? লজ্জা বা স্বরমের কারণে, নাকি ধর্মীয় কারণে? নাকি শরীরের সেই ছোট্ট অঙ্গ-প্রতঙ্গ বড় হয়ে যৌনতার ওপর আমাদের মাইন্ডসেটের প্রভাব বিস্তার করেছে তার কারণে? কারণ যেটাই হোক না কেনো সমশ্যা নেই, সমশ্যা একটাই তা হোল আমরা কেনো এই যৌনতার আলোচনায় চুপ? এত বড় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অথছ আমরা নিরব! শিশুর কৈশরের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সেক্সের ওপর শিক্ষা প্রশিক্ষণ খুবই দরকার বিশেষ করে গ্লোবাল ডিজিটালের যুগে এবং ছোট-বড় সবার জন্য। যে ভাবে সেক্সের ওপর অশ্লিল চলচিত্র তৈরি করে গুগোলের যুগে ডিজিটালের মাধ্যমে সেক্সের প্রচলন চলছে তা শুধু সেক্সের ওপর নোংরামির পরিচয় ছাড়া অন্য কিছু শিখতে বা জানতে সাহায্য করছে না বিধায় স্বর্গীয় আলোবাসা বা রোমান্সের যে সম্পর্ক তৈরি হবার কথা তা হচ্ছে না, যার কারণে নর-নারীর ভালোবাসায় ভাঙ্গনের সাথে করতে শুরু হয়েছে ঘৃণা। এর থেকে রেহায় পেতে হলে দরকার সঠিক প্রশিক্ষণ? সমশ্যা হোল, যে সব শিক্ষক রয়েছে বর্তমান তারা নিজেরাই তো জানে না কী শিক্ষা? এবং কীভাবে শিক্ষা? এর জন্য দরকার বিশেষায়িত শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান যেখানে যৌনতার ওপর আলোচনা হতে পারে, ভাঙ্গতে হবে কুসংস্কার, করতে হবে মন পরিস্কার, তবেই হবে মনুষ্যত্বের পরির্তন। পাশ্চাত্যে বিশেষ করে সুইডেনে সেক্সের ওপর ডিজিটালের আবির্ভাবের সাথে সাথে প্রশিক্ষণ শুরু হওয়াই এখানে সেক্সকে যেমনটি করে ভাবা হচ্ছে বিশেষ করে বাংলাদেশে তেমনটি করে ভাবা হচ্ছে না, যার কারণে বলা হয়, অনেকে নিশ্চয় শুনেছে যে সুইডেনে ফ্রি সেক্স। কেও কি সঠিক ভাবে জানে কি মিন করা হয়েছে এতে? এখানে সেক্সের কেনা-বেচা নিষিদ্ধ।কেও এমনটি করলে বা ধরা খেলে কঠিন সাজার ব্যবস্তা রয়েছে।

এখানে সেক্সের সমন্বয় ঘটে ভালোবাসা বা পছন্দের বিনিময়ে, টাকার, প্রেসার বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে নয়। যদি এমনটি ঘটে তখন নিয়ম অমান্যের কারণে শাস্তির ব্যবস্তা রয়েছে। সুইডেনের প্রশিক্ষণে ক্লাস ওয়ান থেকে নাইন অব্দি সময়কে প্রায়মারী স্কুল বলা হয় এবং এই পাইমারী স্কুলের তিনটি স্তর রয়েছে তা হোল লোগ, (লো) মেলান (মেডিয়াম) এবং হোগ (হাই) লেভেল। সেক্সের ওপর এখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় প্রাইমারীর মেডিয়াম এবং হাই লেভেলে, কারণ একটাই তা হোল শিশুর শারীরিক পরিবর্তনের সাথে মানষিক পরিবর্তনের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে তাকে মানুষিক ভাবে কৈরি করা। এখানের স্কুলে এবং বাড়িতে শিক্ষার্ত্রীকে জানানো হয়, মেন্সট্রেশনের কারণ, সেক্সের সমন্বয় এবং দৈহিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা(হাইজিন), সর্রপরি সতর্কতা, এবং ওপেনলি বা খোলামেলা ভাবে আলোচনা করা হয় সেক্স কি? কেন সেক্স? কোন বয়সে সেক্স? ইত্যাদি ইত্যাদি। বাংলাদেশের বাবা-মা এবং স্কুলের শিক্ষকদের এবিষয়টির ওপর বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া দরকার। টিন এজের এ সময় নানা ধরণের জটিলতা দেখা দেয় যা কেও জানে না, অনেকে ডেপ্রিশনে ভোগে, অনেকে নিজের ওপর বিশ্বাস হারাতে শুরু করে এমনকি আত্মহত্বার মত ভয়বহ কারণ ঘটে থাকে। বাবা-মা চিন্তায় ঘুম হারাম করতে শুরু করে অথছ কেও সেক্স বা যৌনতার বিষয় কথা বলে না। সেক্স মানব জাতির জন্য স্বর্গীয় আশির্বাদ এবং ভালোবাসার ফল এবং এ বিষয়ে সেই ভাবে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণের ব্যবস্তা করতে হবে, সাথে সুশিক্ষার সমন্বয়ে মানবজাতির চরিত্রের পরিবর্তন আনতে হবে। মনের কলুসতা দূর করতে হলে এবিষয়ে ওপর খোলামেলা আলোচনা হতে হবে, তা নাহলে আমাদের মুরাল ভ্যালুর পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে না। মনে রাখতে হবে, সেক্স বা যৌনতা এ অভিশাপ নয় এ মানবজাতির জন্য স্বর্গীয় আশির্বাদ।

রহমান মৃধা, দূরপরবাস সুইডেন থেকে।