একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে নৌকার নিজ দলীয় প্রার্থীর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সর্বস্তরের এলাকাবাসীসহ দলটির সাধারণ নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) শেষ বিকেলে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ হাটে প্রধান সড়কে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।

এ সময় মীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর খান হকুম আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী,ধর্মপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান,, মীরগঞ্জহাট ডিগ্রি কলেজের সাবেক প্রভাষক হামিদুল হক, মুক্তিযোদ্ধা নরেশ চন্দ্র বর্মন,মীরগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক হেলালুর বসুনিয়া, মীরগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-মনোয়ার হোসেন লিটন সহ অনেকেই।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে আসনটি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা। এরপর গত পাঁচ বছরে ক্ষমতা থেকে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন তিনি। এবারের নির্বাচনে মহাজোটের কারণে আসনটি জাতীয় পাটিকে দেওয়ার কারনে তাঁকে মনোনয়ন প্রদান করা হয়নি। আসনটিতে জেলা জাতীয় পাটির সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য কাজী ফারুক কাদের ও মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেলকে অহেতুক জোটের মনোনয়নের প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা নরেশ চন্দ্র বর্মন অভিযোগ করে বলেন, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য কাজী ফারুক কাদের মুসলীম লীগের চেয়ারম্যান স্বাধীনতা বিরোধী কাজী কাদেরের সন্তান ও সাংবাদিক কটুক্তিকারী কারাগারে থাকা ব্যারিষ্টার ময়নুল হোসেনের জামাতা। অপর প্রার্থী মেজর রানা এলাকায় অপরিচিত মুখ। এখানে স্বাধীনতা বিরোধীর সন্তান ফারুক কাদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হলে স্বাধীনতার স্বপক্ষের অনেকেই ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।ব্যাপক পরিচিতি ও জনসংযোগ না থাকায় মেজর রানার জয়ও অনিশ্চিত এখানে। সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের পক্ষে বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা কে মনোনয়ন দেওয়া হলে জয় নিশ্চিত হবে।

মীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর খান হুকুম আলী বলেন,‘এলাকাটি জামায়াত অধ্যসিত হওয়ায় কয়েকবার এখান থেকে জামায়াতের প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে সেটি অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে উদ্ধার করেন অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা। তিনি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন,তাই এলাকার জনগণের সঙ্গে তাঁর ব্যাপক সম্পৃক্ততা আছে। তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হলে বিজয় নিশ্চিত হবে জলঢাকায়।

মহিনুল ইসলাম সুজন,বিশেষ প্রতিনিধি।