ইনিংসের ১৪০তম ওভারের শেষ বল। রোস্টন চেজের করা বলটি স্কয়ার দিয়ে চার হাঁকান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই চারের মধ্য দিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ২০১০ সালে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ওই ইনিংসে ডানহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে এসেছিল ১১৫ রান। সময়ের হিসাবে সাড়ে আট বছর, ইনিংসের হিসাবে ৬৮ ইনিংস পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি।

ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হলেও তৃতীয় সেঞ্চুরি পেতে মাত্র এক টেস্ট অপেক্ষা করতে হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩ ও পরের ইনিংসে ৩১ রানে ফেরেন তিনি। তবে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ক্যারিবীয় বোলারদের শাসন করে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি।

এই টেস্টে মাহমুদউল্লাহ যখন ক্রিজে এলেন, তখন পাঁচ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৯০ রান। সেখান থেকে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটি গড়েন তিনি। শুরু থেকেই দেখে-শুনে খেলছিলেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম দিন শেষে অপরাজিত থাকেন ৩১ রানে। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও সাবধানী ব্যাটিং উপহার দেন মাহমুদউল্লাহ।

এদিন ক্যারিবীয় বোলারদের দারুণভাবেই সামলেছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ছেড়েছেন অনেক বল, রান বের করার চেষ্টা করেছেন বাজে বলগুলো থেকে। সাকিবের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে শত রানের জুটি গড়ার পথে সতর্ক হয়েই খেলছিলেন। ১১১ রানের জুটি গড়ার পর সাকিব ফিরে গেলেও আরেক প্রান্ত আগলে রাখেন বাংলাদেশ দলের এই সহ-অধিনায়ক।

সপ্তম উইকেটে লিটনের সঙ্গে গড়েন ৯২ রানের জুটি। লিটন তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি। তবে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি থেকে ফেরার পরই বিদায় নেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে জুটি বাঁধেন বাংলাদেশ সহ-অধিনায়ক। যদিও এই জুটি বেশিক্ষণ টেকেনি। মিরাজের বিদায়ে ভাঙ ২৩ রানের এই জুটি।

নবম উইকেটে তাইজুল ইসলামের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মাহমুদউল্লাহ। ৪২ রানের অবিচ্ছিন এই জুটি গড়ার পথে মাহমুদউল্লাহ তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। ধৈর্য ধরেই এদিন ব্যাট করেছেন মাহমুদউল্লাহ। সেঞ্চুরি করতে ডানহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান খেলেছেন ২০৩টি বল, চার হাঁকিয়েছেন মাত্র পাঁচটি। ছিল না কোনো ছক্কার মার।

মাহমুদউল্লাহর এই সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৪৫৮ রান। ১০৩ রানে মাহমুদউল্লাহ ও ২২ রানে তাইজুল ব্যাট করছেন।