একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার বিভিন্ন আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র রোববার (২ ডিসেম্বর) যাচাই-বাছাই করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যাচাই শেষে বিভিন্ন অভিযোগেঅনেকের মনোনয়নপত্র বাতিল ও স্থগিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ও স্থগিত করা হয়েছে তাদের নাম ও সংসদীয় আসন এবং মনোনয়নপত্র বাতিল ও স্থগিতের কারণ উল্লেখ করা হলো।

ঢাকা-৭ আসনে ১৯ জনের মধ্যে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তার হলেন, বিএনপি প্রার্থী নাসিমা আক্তার কল্পনা, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোতালেব ও মাসুদুর রহমান খোকন, আওয়ামী লীগের মো.নাজমুল হক।ঢাকা-৮ আসনে সাতজনের মনোনয়নপত্র বাতিল এবং একজনের মনোনয়নপত্র স্থগিত করা হয়েছে। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা হলেন, জাতীয় পার্টি মাহমুদা রহমান মুন্নী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এস এম সরওয়ার, জগদীশ বড়ুয়া (দলের নাম জানা যায়নি), জাতীয় পার্টির আরিফুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো.মাদুল হাসান ও রহমত উল্লাহ।

ঢাকা-৯ আসনে বিএনপি প্রার্থী আফরোজা আব্বাসের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এর আগে রিটার্নিং কর্মকর্তা ঋণ খেলাপি হিসেবে তার প্রার্থিতা স্থগিত করেন। তখন প্রার্থী দুই ঘণ্টা সময় চান। ওই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও প্রার্থীর পক্ষ থেকে কোনও ধরনের কাগজপত্র জমা না দেওয়ায় আফরোজা আব্বাসের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কেএম আলী আজম।

ঢাকা-১০ আসনে দশজন প্রার্থীর মধ্যে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তিনি হলেন গণফোরামের প্রার্থী খন্দকার ফরিদুর আকবর। ঋণ খেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় পার্টির হেলাল উদ্দিনের মনোনয়নপত্র স্থগিত রাখা হয়েছে। তিনি রশিদ দেখাতে পারলে মনোনয়নপত্র বহাল হবে।ঢাকা-১১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান মিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।ঢাকা-১২ আসনে আটটি মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে। সবার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।ঢাকা-১৩ আসনে ১২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সকলের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।ঢাকা-১৪ আসনে ১৩টি মনোনয়নপত্র জমা হয়েছে, যার মধ্যে পাঁচজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা হলেন, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের শাহাজাদা সাইফুদ্দিন (হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকা), আজমীরা সুলতানা (জামানত দেননি), বিএনপির সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক (ঋণ খেলাপি), জাকের পার্টির কায়সার হামিদ (ঋণ খেলাপি) ও জাকির হোসেন।

ঢাকা-১৫ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৬ জন। তিনজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঋণ খেলাপির অভিযোগে মো. মুকুল আমিন (জাপা) এবং মনোনয়নপত্রে ভোটারদের ভুয়া স্বাক্ষরের কারণে মো. সলিমুদ্দিন (স্বতন্ত্র) ও আব্দুর রহিম -এর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

ঢাকা-১৬ আসনে দশজন প্রার্থীর মধ্যে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।তারা হলেন গণফোরামের খন্দকার ফরিদুল আকবর (ঋণ খেলাপি), বিএনপির এ কে মোয়াজ্জেম হোসেন (ঋণ খেলাপি), জাতীয় পার্টির আমানত হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসমাইল হোসেন (ভুয়া ভোটারের স্বাক্ষর)।

ঢাকা-১৭ আসনে ২৭ জন প্রার্থীর মধ্যে দুইজনের স্থগিত ও ১১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। যাদের মনোনয়নপত্র স্থগিত হয়েছে তারা হলেন, জেএসডির নজরুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের আকবর হোসেন পাঠান (চিত্রনায়ক ফারুক)। এছাড়া মনোনয়নপত্র যাদের বাতিল হয়েছে তারা হলেন, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা (মনোনয়ন ফরমে নিজ দলের নাম বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কোনটিই উল্লেখ নাই), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নাসির (ভুয়া ভোটারের স্বাক্ষর), বিকল্প ধারার আরিফুল হক (ঋণ খেলাপি), স্বতন্ত্র প্রার্থী ইনামুল হক (ঋণ খেলাপি), বিএনপির শওকত আজিজ (লঙ্কা বাংলা ও জনতা ব্যাংকের কাছে ঋণ খেলাপি)। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী লেলিন চৌধুরী, মেজর (অব.) মামুনুর রশীদ (ভুয়া ভোটারের স্বাক্ষর), আনিসুজ্জামান খোকন, মো. আব্দুর রহিম, (ভুয়া ভোটারের স্বাক্ষর) ও শামসুল হুদা চৌধুরী (ভুয়া ভোটারের স্বাক্ষর) আওয়ামী লীগের রুবেল আজীজ -এর (ঋণ খেলাপি) মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

ঢাকা-২০ আসনে ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. তমিজ উদ্দিন ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি সুলতানা আহম্মেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।