ট্রেড ইউনিয়ন করার বিধান রেখে বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন-২০১৮’এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে বিকাল ৫টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

শফিউল আলম বলেন, েেট্রড ইউনিয়ন বা শ্রমিকদের এই সংগঠনের নাম হবে শ্রমিককল্যাণ সমিতি। এই সমিতির গঠনতন্ত্র শ্রমিকরা নিজেরাই বানাবেন।মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত ১৩ বছর ধরে এই আইনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। আজ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলো। শ্রম আইন-২০০৬, আইএলও, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডার সঙ্গে পরামর্শের পর সমন্বয় করে এই আইনটি করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দেওয়া তথ্য মতে, এ আইনে যে বিধান রয়েছে তা হলো, এই আইনের মূল বিষয় হলো-শ্রমিকদের ২০ শতাংশ সম্মতি দিলেই শ্রমিক সংঘ করা যাবে। বেপজার পাশাপাশি শ্রম পরিদফতরের পরিদর্শকরাও এই কারখানা পরিদর্শন করতে পারবেন। আগে শুধু বেপজার পরামর্শকরাই ইপিজেডের কারখানা পরিদর্শন করতে পারতেন।

ইপিজেডের অভ্যন্তরে স্থাপিত শিল্প কারখানায় শ্রমিকদের কোনও দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে ধর্মঘট বা আন্দোলন-সংগ্রাম করার প্রয়োজন হলে দুই-তৃতীয়াংশ শ্রমিকের সম্মতি থাকলেই চলবে। এর আগে আরও বেশি শ্রমিকের সম্মতি লাগতো।কারখানায় চাকরি করা অবস্থায় কোনও শ্রমিকের ৬০ বছর পূর্ণ হলে, তার চাকরি জীবনের প্রতি বছরের জন্য ৪৫ দিনের বেতনের হিসাবে টাকা পাবেন। আগে শ্রমিকরা এখানে ৩০ দিনের বেতনের সমান টাকা পেতেন।উল্লেখ্য, আজকের বৈঠকটি বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠক। এটি বর্তমান সরকারের ২০৩ তম বৈঠক। একইসঙ্গে এটি এ বছরের ৩০তম বৈঠক।