একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ১৪জন প্রার্থী।
রবিবার(৩রা ডিসেম্বর)সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত যাচাই-বাছাই শেষে বিভিন্ন ত্রুটি ধরা পড়ায় এদের মধ্যে ৪জনের মনোনয়ন বাতিল করেন নীলফামারী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন ।

বাতিলকৃতরা হলেনঃ দলীয় মনোনয়নপত্র না থাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদুত আমিনুল হোসেন সরকার (আওয়ামীলীগ), আহমেদ বাকের বিল্লাহ মুন(বিএনপি),অন্য ত্রুটির কারনে জামায়াতের জেলা সেক্রেটারী আব্দুস সাক্তার ও মকদুম আজম মাসরাফি(স্বতন্ত্র) প্রার্থীর। তাই বলা যেতে পারে বর্তমানে এই আসনটির চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিলের মাধ্যমে বৈধ রইলেন ১০জন প্রার্থী। এই ১০জন বৈধ প্রার্থীরা হলেনঃ বর্তমান এ আসনটির এমপি ও দলীয় মনোনীত প্রার্থী
বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার (আওয়ামী লীগ),বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ভগ্নিপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী (বিএনপি), সাবেক সংসদ সদস্য জাফর ইকবাল সিদ্দিকী (জাতীয় পার্টি), সাবেক সিনিয়র মন্ত্রী প্রয়াত মশিউর রহমান যাদু মিয়ার নাতি জেবেল রহমান গানি (বাংলাদেশ ন্যাপ),যাদু মিয়ার মেয়ে ন্যান্সি রহমান কবির(এনপিপি), আলহাজ্ব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী (জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ), সাইফুল ইসলাম (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ), সাবেক সংসদ সদস্য ড. হামিদা বানু শোভা (স্বতন্ত্র), ইউনুছ আলী (বাসদ)সিরাজুল ইসলাম(বিএনএফ)।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম জানান, বাতিল হওয়া প্রার্থীগণ নির্বাচন কমিশনে আপীল করতে পারবেন সেখানেও প্রার্থীতা বাতিল হলে তার চাইলে উচ্চ আদালতের স্মরণাপন্ন হতে পারবেন। নীলফামারী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিভিন্ন ত্রুটির কারনে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে ।