এক টাকা থেকে শুরু করে যেকোনও অঙ্কের সব বকেয়া শস্য ও ফসল ঋণের ক্ষেত্রে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) রিপোর্ট করতে হবে। সোমবার(৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এই নির্দেশনা জারি করেছে। দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো নির্দেশনাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঋণখেলাপি যেন কৃষিঋণ না পান, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঋণ বিতরণকারী ব্যাংকগুলোকে নিশ্চিত হতে হবে।নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, নতুন মঞ্জুরি বা নবায়নের জন্য আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত শস্য ও ফসল ঋণের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্টের প্রয়োজন হবে না।

যদিও কৃষি ও পল্লী ঋণের নীতিমালা অনুযায়ী, শস্য ও ফসল চাষের জন্য আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত স্বল্প মেয়াদি কৃষি ঋণের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্টি ও সিআইবি ইনকোয়্যারির প্রয়োজন হতো না।এরআগে, এই বছরের এপ্রিল মাসে জারি করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, এক টাকা খেলাপি হলেও ওই ঋণখেলাপি গ্রাহকের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে জানাতে হয়। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে জমা দিতে হচ্ছে। শুধু ঋণ প্রস্তাব দিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে খেলাপিদের ক্ষেত্রেই নয়, একই অবস্থা হয়েছে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও। এখন ক্রেডিট কার্ডে ঋণ নিয়ে কেউ এক টাকার খেলাপি হলেও সে তথ্য থাকছে সিআইবিতে।প্রসঙ্গত, সিআইবি হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে একটি ব্যুরো, যেখানে গ্রাহকদের ব্যাংকঋণ নেওয়া, তা নিয়মিত পরিশোধ করা বা না করার তথ্য থাকে। একজন গ্রাহক কোনও ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে খেলাপি হলে সে তথ্য সিআইবিতে সংরক্ষিত থাকে। কোনও গ্রাহক ঋণের জন্য আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ওই গ্রাহকের তথ্য সিআইবিতে পাঠায়। তাতে ওই গ্রাহকের অতীত ঋণ তথ্য জানতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। সিআইবির তথ্যে যদি দেখা যায় গ্রাহক আগে থেকে খেলাপি, তখন সাধারণত তাকে নতুন ঋণ দেয় না কোনও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।