পাঁচ বছরের ব্যবধানে ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজি মো. সেলিমের স্ত্রীর হাতে নগদ টাকা বেড়েছে ২০৪ গুণ। এখন তাঁর হাতে নগদ ২ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার ৫৭০ টাকা রয়েছে। ২০১৩ সালে তাঁর কাছে নগদ টাকা ছিল ১ লাখ ২ হাজার ৫০০ টাকা। তবে হাজি সেলিমের হাতে নগদ টাকা কমেছে।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে হাজি মো. সেলিম নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যে হলফনামা জমা দিয়েছেন, তাতে এই তথ্য উল্লেখ রয়েছে।হলফনামা অনুযায়ী, অস্থাবর সম্পদের মধ্যে এবার হাজি সেলিমের হাতে নগদ রয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৫৮ টাকা। ২০১৩ সালে এই আসনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় তাঁর হাতে নগদ ছিল ৫ লাখ ২০ হাজার ৩১৬ টাকা। এই হিসেবে এবার হাজি সেলিমের চেয়ে তাঁর স্ত্রীর কাছে প্রায় ৭০ গুণ বেশি নগদ টাকা রয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হাজি সেলিমের নামে জমা আছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৫ হাজার ১০৫ টাকা। আগে ছিল ৩৪ লাখ ৭৫ হাজার ৪০৮ টাকা। এই খাতে এখন তাঁর স্ত্রীর নামে জমা আছে ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৭ হাজার ৮৫ টাকা। আগে তাঁর নামে ছিল ১ কোটি ৬৪ হাজার ১৫ টাকা।

বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার বাবদ হাজি সেলিমের নামে জমা আছে ৪৬ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার টাকা। তাঁর স্ত্রীর নামে আছে ১৬ কোটি ৫৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আগে এই খাতে হাজি সেলিমের নামে ছিল ২৬ কোটি ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকা। তাঁর স্ত্রীর নামে ছিল ১১ কোটি ৪৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

২০১৩ সালে হাজি সেলিমের পোস্টাল, সঞ্চয়ী, সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ছিল ৫০ লাখ টাকা। তাঁর স্ত্রীর নামে ছিল ১০ লাখ টাকা। এবার স্ত্রীর নামে আগের পরিমাণ টাকা জমা আছে। কিন্তু হাজি সেলিমের সঞ্চয় নেই।হাজি সেলিমের আয়ের বড় উৎস ব্যবসা। তিনি মদিনা গ্র“প, মদিনা সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মদিনা পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ব্যবসা বাবদ তাঁর বার্ষিক আয় ১ কোটি ১৬ লাখ ৬২ হাজার ৭৪ টাকা। আগের চেয়ে এবার তাঁর বার্ষিক আয় ৪৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮৮ টাকা কম। এ ছাড়া বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ও অন্যান্য ভাড়া বাবদ এবার বার্ষিক আয় ৬৬ লাখ ৯৭ হাজার ১০৫ টাকা। আগে ছিল ৫২ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৮ টাকা।