যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির ৭৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ৮ টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, সকাল ৮.৩০ টায় বনানী কবরস্থানে শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ এবং সকাল ১০.০০ টায় রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, বিএনপি বলছে রিটার্নিং অফিসাররা নাকি সৎ মায়ের ভুমিকা রাখছে, হেভিওয়েট প্রার্থীদের নির্বাচনের বাইরে রাখার চেষ্টা করছে। বিএনপি জানে, দুনীতির অপরাধে অপরাধী, দঁন্ডিত ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না, তাহলে কেন বিএনপি দলটি তাদের মনোনয়ন দিলো?, এটা কি দলের অযোগ্যতা না ব্যক্তির? বিএনপির অযোগ্যতা কেন নির্বাচন কমিশনের ঘাড়ে চাপাতে চাচ্ছে? নির্বাচন কমিশন এবং জাতীয় নির্বাচন কে প্রশ্নবিদ্ধ করে ইস্যু তৈরী করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা, মিথ্যাচার করাই হচ্ছে বিএনপির মুল লক্ষ্য। যুবলীগ চেয়ারম্যান আরো বলেন “ডু নট লিভ আওয়ার দ্যা ফ্ল্যাগ অফ ডিফিট” পরাজয়ের পতাকাতলে জীবন কাটাবেন না অর্থ্যাৎ হাসিমুখ হচ্ছে আমাদের বিজয়ের পতাকা, মুখের হাসিকে বাচিয়ে রাখতে হবে, অযথা মুখ প্যাঁচার মতো রাখবো না, হাসিমুখে থাকবো আনন্দে থাকবো, জীবন একটা প্লাস মাইনাসের খেলা, এখানে কিছু প্লাস থাকবে, কিছু মাইনাস থাকবে, বাস্তববাদী হতে হবে, বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে, তবেই আমরা জিততে পারবো, এই বাস্তবতা হচ্ছে দু:খ কষ্ট, বাধা বিপত্তিকে বরন করে নেওয়া, যা শেখ হাসিনা আমাদের শিখিয়েছেন, কষ্ট মানে চেতনা, আরো শিখিয়েছেন বুদ্ধি এবং আলোচনা প্রয়োগ দ্বারা পৃথিবীর যাবতীয় সমস্যার সমাধান সম্ভব।

যুবলীগ চেয়ারম্যান আরো বলেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু কেন শেখ মনিকে নির্বাচিত করেছিলেন? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের শেখ মনির জীবন দর্শন ও দার্শনিকতা বিশ্লেষন করতে হবে। শেখ ফজলুল মনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, অন্ধ চাটুকর নন। আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক কাজের তিনি সমালোচক ছিলেন। শেখ মনি’ই লিখেছিলেন “ মোনায়েম খানের প্রশাসন দিয়ে মুজিবের সকার চলবে না”। বঙ্গবন্ধুর চারপাশে অনেক সুবিধাবাদীদেও ব্যাপারে তাঁর কলম ছিলো উদ্যত। শেখ মনি একজন অসাধারণ সংগঠক ছিলেন। তিনি কর্মীদের মোহবিষ্ট করতে পারতেন। শেখ মনি ছিলেন একজন চিন্তাশীল লেখক, দার্শনিক। এতোগুলো প্রতিভার সমন্বয় যদি একটি সংগঠনে থাকে তাহলে সেই সংগঠনটি হয়ে ওঠে আলোক বর্তিকা, জাতির চিন্তার বাতিঘর। এ কারনেই বঙ্গবন্ধু শেখ মনি’কে যুবলীগের চেয়ারম্যান করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তারুন্যেও স্ফুলিঙ্গ চেয়েছিলেন, দ্রোহ চেয়েছিলেন আবার চেয়েছিলেন তারুন্য যেন বিকশিত হয়, তারা যেন দেশ বির্নিমানে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে পারে। এ কারনেই তিনি যুব তারুন্যের প্রতীক শেখ মনিকে যুবলীগের চেয়ারম্যান করেছিলেন।

যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশীদ এর পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, মোঃ ফারুক হোসেন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, শেখ আতিয়ার রহমান দিপু, আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহি, সুব্রত পাল, নাসরিন জাহান শেফালী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন গাজী, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাইনুল হোসেন খাঁন নিখিল, দক্ষিন সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাট, উত্তর সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, দক্ষিন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমূখ।