রংপুর অঞ্চলের ৫টি আসনেই শরীক জামায়াতকে প্রার্থী দেয়ার অনুমতি দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। যুদ্ধাপরাধের দায়ে নিবন্ধন বাতিল হওয়া দলটি জোটসঙ্গী বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তারা নামছে ভোটের মাঠে। যাদের সবাই হত্যা-নাশকতা-সহিংসতা, সংখ্যালঘু নির্যাতনের মামলার আসামি। বিষয়টিকে মোটেও ভালোভাবে নিচ্ছেন না বিশ্লেষকরা।  পলাতক জামায়াত নেতা গোলাম রব্বানীকে দেয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত মনোনয়নপত্র। নিবন্ধন না থাকায় বিএনপি প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ দেয়া হয়েছে জামায়াতকে। ঐক্যফ্রন্টের অংশীদার হিসেবে পাওয়া আসনগুলোর মধ্যে দলীয় ৩৫ জনের জয় নিয়ে আশাবাদী জামায়াত নেতা। রংপুরের জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট বায়েজীদ ওসমানী বলেছেন, আমাদের নির্বাচিত হয়ে আসার মতো প্রার্থী আছে ৩৫ জন। যারা নির্বাচিত হবেন বলে আমরা আশাবাদী।

রংপুর-৫-এ ধানের শীষের প্রার্থী রব্বানী ২০১৩ সাল থেকে সহিংসতা-নাশকতায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পেট্রোল বোমায় সাত বাসযাত্রীকে পুড়িয়ে মারার আসামিও তিনি। গাইবান্ধা-১ এ জেলা জামায়াতের সহ-সেক্রেটারি মাজেদুল ইসলাম বামনডাঙ্গা ফাঁড়ি আক্রমণ করে অস্ত্রলুট ও চার পুলিশ সদস্যকে হত্যা, রিকশাচালক শরীফুল ও ছাত্রলীগ নেতা মামুন হত্যার আসামি।

কেন্দ্রীয় সুরা সদস্য আজিজুল ইসলাম নীলফামারী-৩ ও ২ আসনে জেলা আমির মনিরুজ্জামান মন্টু সংস্কৃতিমন্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা করে চার যুবলীগ কর্মী হত্যা, দিনাজপুর-১ ও ৬ আসনে উপজেলা আমির আবু হানিফ ও জেলা আমির আনোয়ারুল ইসলাম, সংখ্যালঘু কর্ণই গ্রামে অগ্নিসংযোগসহ ১৭টি নাশকতা মামলার আসামি তারা।

রংপুরের ৫টি আসনেই শরীক জামায়াতকে প্রার্থী দেয়া নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক আকবর আলী বলেন, ‘বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য যারা দায়ী। সে দল কিন্তু এখন রাজনীতি করার বৈধতা পেয়ে যাচ্ছে, আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে।’  এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের যে দলটি সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। তাদেরকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে সাধারণ মানুষ বলছে, বিএনপি, জঙ্গি ও জামায়াতসহ এদেরকে সঙ্গে নিয়ে দেশটাকে অচল কারা চিন্তা-ভাবনা করার পায়তারা করছে তারা।