আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে হবিগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থিতা ফেরত পেয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এমএস কিবরিয়া ছেলে রেজা কিবরিয়া।

গণফোরাম যোগ দিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে নির্বাচনের অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু যাচাই-বাছাই শেষে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা সেই মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন। শুক্রবার (০৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আপিল শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশন মনোনয়নপত্র রেজার আবেদন বৈধ ঘোষণা করেন। ঋণ খেলাপের কারণ দেখিয়ে তার মনোনয়নপত্র গত ২ডিসেম্বর বাতিল করে দেয় রিটার্নিং কর্মকর্তা।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ আপিল শুনানি শুরু হয়। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ফের আপিল শুনানি হচ্ছে। এটি শেষ হবে আগামীকাল শনিবার। সিরিয়াল নম্বর অনুযায়ী আজ ১৬১ থেকে ৩১০ নম্বর পর্যন্ত এবং আগামীকাল শনিবার শেষ দিন ৩১১ থেকে ৫৪৩ নম্বর আবেদনের শুনানি হবে।

আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ১১ তলায় এ লক্ষ্যে গঠিত এজলাসে আপিল আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এ আপিল শুনানি করছেন। ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বিচারকদের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আজ আপিল নিষ্পত্তি শেষে যাঁদের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে তাঁরা হলেন— মো. জিয়া উদ্দিন ও আবদুল খালেক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬); মুসলিম উদ্দিন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪); হাসান মাহমুদ চৌধুরী (চট্টগ্রাম- ৮); আবু আহমেদ হাসনাত (চট্টগ্রাম-৭); মো. গিয়াস উদ্দিন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২); আবদুল খালেক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬); শাহজাহান মজুমদার (কুমিল্লা-১০); মো. আলতাফ হোসাইন (কুমিল্লা-১); খোরশেদ আলম খুশু (চাঁদপুর-৫); মো. সাইফুল্লাহ (হুমায়ুন মিয়া) (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২); এ কে ফাইয়াজুল হক ও মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা (বরিশাল-২), মো. আবদুর রশিদ (পটুয়াখালী-১); মো. বাদশা মিয়া (বরিশাল-১); মো. মতিউর রহমান তালুকদার (বরগুনা-১); গোলাম নবী আলমগীর ( ভোলা-১); মো. শহীদুল আলম তালুকদার (পটুয়াখালী-২); সৈয়দ রুবিনা আক্তার (বরিশাল-২); আলহাজ এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন (ঢাকা-১৬); মো. সুলতান আহম্মদ খান (ঢাকা-৩); মোহাম্মদ সালাউদ্দিন (রুবেল) (কিশোরগঞ্জ-২); মোহাম্মদ. মুসা খান (কিশোরগঞ্জ-৬); মো. আ. লতিফ মিয়া (টাঙ্গাইল-৮); জাইদুল কবির (নরসিংদী-২); খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল খান (কিশোরগঞ্জ-১); জহিরুল হক মণ্ডল বাচ্চু (গাজীপুর-৩); মইনুল ইসলাম খান (মানিকগঞ্জ-২); সুশান্ত ভাওয়াল (শরীয়তপুর-৩); নুরুল ইসলাম (কিশোরগঞ্জ-২); মো. ছালাউদ্দিন খোকা (নারায়ণগঞ্জ-৪); ব্যারিস্টার এম আশরাফুল ইসলাম ও মামুনুর রহমান (টাঙ্গাইল-৬); এস এম চাঁন মিয়া (টাঙ্গাইল-৩); আল আমীন মোল্লা (মাদারীপুর-২); এস এম সরওয়ার (ঢাকা-৮), নাদিয়া আক্তার (মাদারীপুর-১)।

এ ছাড়া মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে মো. আবদুল্লাহ (মুন্সীগঞ্জ-১); ডা. এনামুল হক (ইদ্রিছ) (কিশোরগঞ্জ-৩); মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন (নারায়ণগঞ্জ-৪) ; সৈয়দ মজিবর রহমান (টাঙ্গাইল-৭); মো. বাদল কাজী (শরীয়তপুর-২); মো. শাহনেওয়াজ (মাদারীপুর-১)।সারা দেশ থেকে আসা ৫৪৩টি আপিল আবেদনের প্রথম দিন ১৬০ জনের শুনানি নেওয়া হয়।এর মধ্যে ৮০ প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করা হয়, অন্যদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে ৭৬ জনের। এ ছাড়া চারজন প্রার্থীর আবেদন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা গত ৩ ডিসেম্বর ৮৪টি, ৪ ডিসেম্বর ২৩৭টি এবং গত বুধবার শেষ দিনে ২২২টি আবেদন দায়ের করেন বলে বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর থেকে প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকরা নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।