দেশের উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশে ধেয়ে আসছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। আগামী সপ্তাহ থেকে উত্তরবঙ্গের অঞ্চলগুলিতে মাঝারী শৈত্যপ্রবাহের সাথে সাথে জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহ থেকে বয়ে যাবে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। এমনটাই আভাস দিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গের কিছু জেলাসমুহের তাপমাত্রা উঠা নামা করলেও সারাদেশে বৃদ্ধি পাবে শীতের তাপমাত্রা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে,ডিসেম্বর মাস পড়ার পর থেকে উত্তরাঞ্চলের আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হয়েছে। ডিসেম্বরের ৫দিনের মাথায় রাজশাহীসহ আশপাশের অঞ্চলের তাপমাত্রা কমে গেছে অস্বাভাবিকভাবে। বুধবার রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছে ১৩দশমিক ৬ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল সকাল ৬টায় ৯৫শতাংশ, বিকেল ৫টায় ৭০শতাংশ। গত কয়েকদিন আগেও রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিলো। কিন্তু ডিসেম্বর মাস পড়ার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে।

এই মওসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে রাজশাহীতে। এ মাসেই রাজশাহীর উপর দিয়ে দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। এরমধ্যে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে মাঝারী ও শেষ সপ্তাহে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করতে পারে। তবে জানুয়ারীর প্রথম থেকে শুরু করে প্রথমার্ধ পর্যন্ত তীব্র শৈত্য প্রবাহ বিরাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেশিরভাগ সময়ই রাজশাহী অঞ্চলে সুর্যের মুখ দেখা যায়নি বললেই চলে। যেটুকু সময় সূর্য ছিলো, সেসময়ও ছিলোনা প্রখরতা। এই মৌসুমে এমন আবহাওয়া ছিলো এটিই প্রথম। এতে দিনভর শীত অনুভুত হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। রাত ১০টার পর থেকে শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে কুয়াশা,থাকছে সকাল পর্যন্ত।

এদিকে, শীত বাড়ায় ভোগান্তি বাড়ছে ছিন্নমুল ও সাধারণ মানুষের। খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেশি পোহাতে হচ্ছে। কারণ প্রতিবছর ডিসেম্বর মাস থেকে বিভিন্ন সংগঠন থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও এবার এখনো শুরু হয়নি শীত বস্ত্র বিতরণ। সাধারণ মানুষ শীত নিবারণের জন্য চেয়ে থাকে বিভিন্ন সংগঠনের দিকে।

অপর দিকে শীত বাড়ায় বাড়ছে রোগ বালাই। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া রোগ দেখা দিয়েছে। বুধবার সকাল থেকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগিদের হাসপাতালে ভর্তি হতে দেখা গেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগিদের ভর্তি করা হচ্ছে। এতে মেডিসিন বিভাগে বেড়েছে রোগির চাপ।