১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তালা খুলে দিয়েছে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলনের অনুসারীরা। এই ১২ ঘণ্টার মধ্যে চাঁদপুর-১ আসনের মনোনয়ন পরিবর্তন করে মিলনকে প্রার্থী করার দাবিতে শনিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া দুইটায় গেটের তালা খুলে দেওয়া হয়। এর আগে শনিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর একটার দিকে মিলনের সমর্থকরা গেটে তালা দেন।চাদপুর জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন বলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমরা ১২ ঘণ্টার মধ্যে কচুয়া আসনে মিলনকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলেছি। না হলে পল্টন কার্যালয় ও গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তালা দেওয়া হবে।তবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি রুহুল কবির রিজভী।

দুপুর ১২টা থেকে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলনকে মনোনয়ন না দেওয়ার প্রতিবাদে কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন তার অনুসারীরা। বিক্ষোভে অংশ নেন চাঁদপুরের কচুয়া থানা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।তাদের অভিযোগ, এহসানুল হক মিলনের জায়গায় চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. মোশাররফ হোসেনকে এলাকায় কেউ চেনেন না। সারাজীবন তিনি মালয়েশিয়াতে ছিলেন। অন্যদিকে, এহসানুল হক মিলন পাঁচ বছর দেশের বাইরে থাকলেও তার সঙ্গে এলাকার মানুষের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। এখনও তিনি জেলে আছেন,তার ত্যাগকে মূল্যায়ন করা হয়নি।চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ফারুকী বলেন, কচুয়ার আসনটি পুনরুদ্ধার করতে মিলনের কোনও বিকল্প নেই।মিলন ফ্রেন্ডক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গাজী মোহাম্মদ রোমেল বলেন, মোশাররফ হোসেন এলাকায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে লিয়াজোঁ করেছিল এতদিন। তিনি গত ১০ বছরে দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর অনেক নির্যাতন করেছেন। আওয়ামী লীগকে এই আসন ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যা আমরা মেনে নিতে পারি না।