গাজীপুরের কালীগঞ্জে রবিবার এক যুবক তার ঘুমন্ত বাবাকে ছুরিকাঘাত করে ও পিটিয়ে খুন করেছে। এসময় বাধা দেয়ায় ওই যুবকের রডের আঘাতে তার মা ও বড় ভাই আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক ছেলেকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। এদিকে কালিয়াকৈরে নেশার টাকা না পেয়ে এক যুবক তার ভগ্নিপতিকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি আবুবকর মিয়া ও স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের সোমবাজার এলাকার আব্দুল হাই (৬০) ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা (৫০) একটি কক্ষে এবং তাদের বড় ছেলে হাসিবুর রহমান নিলয় (২০) ও ছোট ছেলে নকিব হাসান হৃদয় (১৮) অপর একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন রবিবার সকালে নকিব হাসান হৃদয় তার ঘুমন্ত বাবাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে ও মাথায় রড দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এ সময় টের পেয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠে স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে হৃদয় তার মাকেও (রাজিয়া সুলতানা) রড দিয়ে আঘাত করে। মায়ের চিৎকারে বড় ভাই নিলয় এগিয়ে গেলে হৃদয় রড দিয়ে তাকেও আঘাত করতে থাকে। আহতদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল হাইকে মৃত ঘোষনা করেন। এসময় এলাকাবাসি ঘাতক ছেলে হৃদয়কে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে হৃদয়কে আটক করে এবং ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তবে কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায় নি।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক লুবনা খানম জানান, হাসপাতালে আনার আগেই আব্দুল হাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতের শ্যালক আব্দুল আলিম ও প্রতিবেশীরা জানান, নকিব হাসান হৃদয় মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী। সে গত প্রায় ৪/৫ বছর ধরে অসুস্থতায় ভুগছে। নিহতের বড় ছেলে হাসিবুর রহমান নিলয় নরসিংদী সরকারী কলেজের ¯œাতকের ছাত্র।