বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট জনগণের সাড়া না পেয়ে এখন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র সঙ্গে গোপন বৈঠক করে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। ২১ আগস্ট প্রেনেড হামলার প্ল্যানার, মাস্টারমাইন্ড, দণ্ডিত পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামির নেতৃত্বে যে ঐক্যফ্রন্ট চলছে সে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণ নেই। তারেক রহমান লন্ডনে বসে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও পাকিস্তানের দূতাবাসে গোপন বৈঠকে এই ষড়যন্ত্র করছেন। নির্বাচন বাংলাদেশে, ভোট দেবে এ দেশের জনগণ, এতে পাকিস্তানের কী করার আছে। বিএনপি যদি মনে করে ২০১৪ সালের পুনরাবৃত্তি ঘটাবে, এমন ধারণা অবান্তর। দেশের জনগণ সর্বশক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করবে। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশে যথাসময়ে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে বিদেশিদের কাছে স্বীকৃত। দণ্ডিত ও পলাতক আসামির নেতৃত্বে যে দল চলছে তাদের দ্বারা দেশ চালানো সম্ভব নয়। সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপির ঘরের বিবাদ বাইরে ছড়িয়ে পড়ছে। বিএনপি অফিসে দফায় দফায় হামলা চালাচ্ছে এবং তালা ঝুলিয়ে দিচ্ছে মনোনয়ন বঞ্চিতরা। তারা সংকটে পড়েছে মনোনয়ন বঞ্চিতদের দ্বারা। তাদের দাবি হয় টাকা ফেরত দাও নইলে মনোনয়ন দাও। আওয়ামী লীগ অনেক আগ থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে টিমওয়ার্ক শুরু করেছে। যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়নি তাদের নির্বাচনি কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এতে সুফলও পাওয়া যাচ্ছে। দলের বাইরে বিদ্রোহী তৎপরতা থাকবে না, যা আমাদের বিজয়কে তরান্বিত করবে। নেত্রী বলেছেন, মনোনয়ন বঞ্চিতদের মূল্যায়ন করা হবে।এ সময় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনাম সেলিম ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদ উল্যাহ খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুদ্দিন সেলিম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, যুগ্ম সম্পাদক একেএম শামছুদ্দিন জেহানসহ অন্যান্য নেতা উপস্থিত ছিলেন।