স্ত্রী ফর্সা নয় শ্যামল দীর্ঘদিন থেকে এই অভিযোগ তুলে স্ত্রীকে হত্যা করার পর মুখে বিষ দিয়ে লাকি আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধুকে হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায় স্বামীসহ শ্বশুড় বাড়ীর লোকজন। রোববার(৯ই ডিসেম্বর) রাতে ঘটনাটি ঘটে নীলফামারীর ডিমলায়। ডিমলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিন তিতপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের কন্যা লাকি আক্তারের ৭ বছর আগে বিয়ে হয় খালিশা চাপানি ইউনিয়নের গোডাউনের হাটের আব্দুস সোবাহানের পুত্র গোলাম মোস্তফার সাথে। তাদের সংসারে ৪বছরের পুত্র শিফাত ও ৯ মাসের কন্যা সতœান মোনতাহা রয়েছে। লাকির পিতা জহুরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার কন্যা ফসা নয় শ্যামলা এই নিয়ে দীর্ঘদিন জামাতাসহ শ্বশুড় বাড়ীর লোকজন বকাঝকা করত। বিয়ের সময় মেয়েকে নগদ ৪ লক্ষ টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ন দেয়া হয়েছিল। রোববার দুপুরে তার কন্যা কালো হয়েছে মায়ের মতন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া লাগে। এ সময় লাকির শ্বাশুড়ী নুর নাহার (৫৫) নগদ মিনি আক্তার (২০) মারডাং করে। এ সময় লাতি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার স্বামী গোলাম মোস্তফা মুখে বিষ দিয়ে ডিমলা হাসপাতালে ভ্যান করে পাঠায়। তার অপবস্থার অবনতি ঘটলে রাতে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে হস্তান্তর করা হলে সে মৃত্যুবরন করেন। এ ব্যাপারে রংপুর কোতয়ালী থানায় অপমৃত্য মামলা দায়ের হওয়ার সোমবার বিকালে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন করা হয়েছে। এদিকে মেয়ের পরিবার হত্যা মামলার করবেন মর্মে জানায়। লাকির শরীর বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।

মহিনুল ইসলাম সুজন,বিশেষ প্রতিনিধি ॥