পাবনার ঈশ্বরদী মুলাডুলি বাণিজ্যিক ইক্ষু খামার সংলগ্ন পুরাতন ইটভাটার একটি খাল থেকে নিখোঁজের দুই দিন পর বুধবার আসাদুল ইসলাম এরশাদ (৩৪) নামে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরশাদ মুলাডুলি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক এবং মুলাডুলির ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান মোক্কাস প্রামানিকের ছেলে।
পুলিশ ও এরশাদের চাচাতো ভাই আমিরুল ইসলাম জানান, এরশাদ রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতেন। গত সোমবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় চাকুরী শেষে বাড়ি ফেরেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে একটি দোকানে কয়েল কিনতে যান। সেখান থেকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কয়েল নিয়ে এক ভ্যান চালকের মাধ্যমে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে বলেন, আমি শেখপাড়া যাচ্ছি। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ব্যাপারে এরশাদের ভাই মহিরুল ইসলাম ঈশ্বরদী থানায় গত ১১ ডিসেম্বর একটি সাধারন ডায়েরি করেন। স্থানীয়রা জানান, এরশাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। একটি চোখ ও কান কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। ধারণা করা হচ্ছে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
মুলাডুলি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেন মিঠু জানান, এরশাদ নিখোঁজের ঘটনাটি আমি শুনেছিলাম। তারা পারিবারিক ভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। কি কারণে বা কারা তাকে হত্যা করেছে এব্যাপারে এখনো কিছু জানা যায়নি।
ঈশ্বরদী থানার সাব ইন্সপেক্টর এসআই আশরাফুল ইসলাম জানান, মুলাডুলি বাণিজ্যিক ইক্ষু খামার সংলগ্ন এলাকা থেকে আসাদুল ইসলাম এরশাদ (৩৪) নামে এক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঢয়না তদন্তের জন্য লাশ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্ঘে পাঠানো হয়েছে।