রিকশাচালককে মারধরের ঘটনায় ঢাকা মহানগর উত্তরের সাত নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকার পদ থেকে সুইটি আক্তার শিনুকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর উত্তরের সাত নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আব্দুল হারুন ও সাধারণ সম্পাদক মো. মকবুল হোসেন তালুকদার স্বাক্ষরিত বহিষ্কারের একটি চিঠি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ঢাকার সাত নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকার পদ থেকে সুইটি আক্তার শিনুকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার আচরণে দলের সুনাম নষ্ট হয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বার বার সংশোধন করার পরও তার আচরণ সংশোধন হয়নি বরং উচ্ছৃঙ্খলতা বেড়েছে। জরুরি বৈঠকে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মো. মকবুল হোসেন তালুকদার বলেন, ‘১১ ডিসেম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তে সুইটিকে মহিলা সম্পাদিকা ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে ফেসবুকের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায় এক নারী, এক রিকশাচালকের ওপর চড়াও হয়েছেন। তিনি নিজেই ওই রিকশার যাত্রী ছিলেন। রিকশাচালকের প্যাডেলের গতি পছন্দ নয় ওই নারীর। তাই আরও জোরে চালাতে নির্দেশ দেন। কিন্তু রিকশাচালক জানান, এর চেয়ে বেশি জোরে চালাতে পারবেন না। এতেই বিপত্তি হয় চালকের। ক্ষিপ্ত নারী চড়াও হন চালকের ওপর। সবার সামনে রিকশা থেকে নেমে চালকের গায়ে হাতও তোলেন তিনি। আবারো রিকশায় উঠে হাতের ব্যাগ দিয়ে চালককে মারতে উদ্যত হন। ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে লাথি ছুঁড়তেও দেখা যায়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও হয়।

ঘটনার ভিডিও দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অনেক পথচারী ওই নারীর আচরণের প্রতিবাদ করছেন। তবে কোনো প্রতিবাদেই নিজের অবস্থান থেকে সরেননি তিনি। এক পর্যায়ে প্রবীণ এক পথচারীর ওপর হামলা চালান ওই নারী।