একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফরিদপুর ও নোয়াখালীতে দুজনের খুনের ঘটনায় তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঢাকা-১২ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মানে বড় নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিক্ষিপ্তভাবে ছোট ছোট সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আমিও বিষয়টি দেখবো। বিষয়গুলো তদন্ত করে ফয়সলা করা হবে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিজয় সরণি ফার্মগেট এলাকায় জনসংযোগকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।গত সোমবার প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক ভোটপর্ব শুরু হয়। এরপর মঙ্গলবার বিকেলে নোয়াখালী সদর উপজেলায় ইউনিয়ন যুবলীগের এক নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।ওই দিনই রাত ৮টার দিকে ফরিদপুরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গি এলাকার একটি চায়ের দোকানে দুর্বৃত্তরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মামুন খানকে পিটিয়ে হত্যা করে।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দুইটা খুন হয়েছে। দুইটাই কিন্তু একটা যুবলীগের, একটা আওয়ামী লীগের সমর্থক। এই জায়গাটায় স্পষ্টই প্রমাণ হয় যে, এইগুলি কেন করেছে? এটা বানচাল করার জন্য, একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য, এগুলি হয়তো করেছে। তদন্তের মাধ্যমে সব ফয়সালা হবে।এ সময় বিরোধী দলের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন স্বরাষ্টমন্ত্রী। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে নির্বাচন কমিশন ভূমিকার রাখবে বলেও প্রত্যাশার কথা জানান তিনি। এ ছাড়া বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘ওয়ারেন্ট আছে, এর জন্যই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।