একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার প্রকাশ করেছে জাতীয় পার্টি। শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) বনানীতে দলটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেন পার্টির চেয়ারম্যানের বিশেষ সহকারী ও সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। নির্বাচনি ইশতেহারে বলা হয়েছে, আগামী দিনের সরকার পরিচালনায় জাতীয় পার্টির প্রথম অঙ্গীকার হচ্ছে দেশে সবক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, সুষ্ঠু গণতন্ত্রের বিকাশ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে দলটি ১৮টি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। ইশতেহারে বলা হয়েছে, ১৮ দফার অঙ্গীকার এ দেশের জন্য সৌভাগ্যের প্রতীক। জাতীয় পার্টির উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মূল ভিত্তি ছিল ১৮ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন। যারা ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সময়ের দেশ পরিচালনা প্রত্যক্ষ করেছেন তারা এখনও স্মরণ করেন সেই স্বর্ণোজ্জ্বল দিনের কথা। আগামী দিনের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং নতুন প্রজন্মের জন্য আগামী অর্ধশতাব্দী সময়কে সামনে রেখে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জাতীয় পার্টি নতুনভাবে ১৮ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করছে।

দফাগুলোর মধ্যে প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তন, নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার, পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, ধর্মীয় মূল্যবোধ, কৃষকের জন্য ভর্তুকি মূল্যে সার, ডিজেল, কীটনাশক সরবরাহ, কর-শুল্ক মওকুফ, সহজ শর্তে ঋণ, সন্ত্রাস দমনে কঠোর ব্যবস্থা, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, ফসলি জমি নষ্ট না করা, খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা পদ্ধতির সংশোধন, স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ, শান্তি ও সহাবস্থানের রাজনীতি প্রবর্তন, সড়ক নিরাপত্তা, গুচ্ছগ্রাম পথকলি ট্রাস্ট পুনঃপ্রতিষ্ঠা, পল্লি রেশনিং চালু, শিল্প ও অর্থনীতির অগ্রগতি সাধন এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জন্য ৩০টি আসন সংরক্ষিত রেখে সংসদে মোট ৩৮০টি আসনের কথা বলা হয়েছে ইশতেহারে। ইশতেহার ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য দেলোয়ার হোসেন খান, এস এম ফয়সল চিশতী, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খান, আলমগীর সিকদার লোটন, যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, শেখ আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম, হেলাল উদ্দিন, একেএম আশরাফুজ্জামান খান প্রমুখ।