সারাদেশে নৌকা প্রতীকের গণজোয়ার ও ধানের শীষের গণভাটা দেখে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা দিশেহারা ও বেসামাল হয়ে গেছেন। শক্তি কমলে বুকের বিট ও মুখের বিষ বাড়ে। তাই তাঁরা আবোলতাবোল বলতে শুরু করেছেন। শনিবার দুপুরে ফেনীর দাগনভূঁঞায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন নষ্ট রাজনীতির মূল প্রবক্তা। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ‘খামোশ’ বলে দম্ভোক্তি করেছেন। তিনি এতো নীচে নেমেছেন যে সাংবাদিকদেও অপমানিত করতে দ্বিধাবোধ করেননি। তিনি (কামাল) পাকিস্তানি ভাষায় কথা বলেছেন।

ড. কামালের গাড়ী বহরে হামলা ও আইনশৃংখলা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য ঐক্যফ্রন্টই দায়ী। তাঁরা পল্টন থেকে সন্ত্রাসের সূচনা করেছেন। তাদের দিকে জনগণের কোন দৃষ্টি নেই। জনগণের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য কোথাও কোথাও নিজেদের ওপর নিজেরা হামলা করছেন। দোষ দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের ওপর। নির্বাচনে বিভিন্ন সংসদীয় আসনে এখনো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত নেতারা বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে প্রচারণা চালাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সময়মত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন বিরোধী দল নির্বাচন থেকে সরে যাক-তা চাই না। তবে তাদের ধানের শীষের গণভাটা দেখে তাঁরা নিজেরাই হতাশ। সেতুমন্ত্রী বলেন, তিনি দাগনভূঁঞায় সড়কের চলমান কাজ দেখতে এসেছেন। কোন উদ্বোধন করতে আসেননি। দাগনভূঁঞা সদরের জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।

এ সময় দাগনভূঁঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবীর, দাগনভূঁঞা পৌরসভার মেয়র ওমর ফারুক খাঁন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, ফেনীর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।