নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনী প্রয়োজন মনে করলে নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করতে পারবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হবে না। তবে, তারা গ্রেপ্তার করতে পারবে। তাদের সেই ক্ষমতা দেওয়া আছে।’ আজ শনিবার নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন।

সেনাবাহিনীর গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘যদি ম্যাজিস্ট্রেট থাকে বা কোনো একটি এলাকা/কেন্দ্রে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যে, ইমিডিয়েট হস্তক্ষেপ করার দরকার হয় তাহলে তারা গ্রেপ্তার করতে পারে। এটা আইনেই বলা আছে। সিআরপিসিতে আইনে যেভাবে আছে সেভাবেই তারা দায়িত্ব পালন করবে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ভোটের সময় ভোটকক্ষের ভেতরে গিয়ে কোনো টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবে না। তবে, ভোটকক্ষে ছবি তুলে বেরিয়ে এসে ভোটকেন্দ্র এলাকা থেকে (বারান্দা বা মাঠ থেকে) সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে। সাংবাদিকদের প্রতিটি কেন্দ্রে সীমিত আকারে যেতে হবে কারণ একসঙ্গে অনেকে গেলে নির্বাচনি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে বিঘ্ন ঘটে। সেক্ষেত্রে কতজন একত্রে যেতে যেতে পারবেন তা নির্বাচন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ধারণ ক্ষমতা বিবেচনা করে অনুমোদন দেবেন।’

সিইসি বলেন, ‘ভোটকক্ষে কেউ মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। সাংবাদিকরা মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করে ছবি তুলতে পারবেন। কিন্তু ভোটকক্ষে মোবাইলে কথা বলতে পারবেন না। সাংবাদিকদের মতো নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের বিষয়েও একই ধরনের নির্দেশনা মানতে হবে।’

একসঙ্গে কতজন সাংবাদিক প্রবেশ করতে পারবেন এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘প্রিজাইডিং অফিসারের ব্যবস্থাপনা মানতে হবে। তার কক্ষের ধারণ ক্ষমতা বিবেচনা করে যতজনকে অনুমোদন দেন সেটা অনুসরণ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘মোবাইল ব্যাংকিং বন্ধ ও ইন্টারনেটের গতি কমানোর বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হবে।’  সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- কমিশনার মাহবুব তালুকদার, কবিতা খানম ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ প্রমুখ।