গাজীপুরে আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী চক্রের প্রধান ইমরান হোসেন ও তার ৬ সহযোগীসহ সাতজনকে সোমবার মধ্যরাতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা। এসময় বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিলসহ ১টি ট্রাক ও মাদক বিক্রির ৯৬ সহ¯্রাধিক টাকা জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার কালাই সরদারের চর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ ইমরান হোসেন (৩০), গাইবান্ধার পলাশবাড়ি থানার মুরালিপুর এলাকার মৃত মন্টু হাওলাদারের ছেলে মোঃ মনির হোসেন (৩৫), রাজশাহীর মতিহার থানার ভাসমারি এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে ট্রাক চালক মোঃ এজাজুল হক (৫৫), একই থানার চর শ্যামপুরের মৃত নূর ইসলামের ছেলে ট্রাকের হেলপার পিয়ারুল ইসলাম (৩৫), নোয়াখালীর চাটখিল থানার দক্ষিণ বদলকোর্টের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে সজিব হোসেন (২৬), শরিয়তপুরের জাজিরা থানার ছাব্বিশ পাড়া এলাকার মৃত জব্বার হাওলাদারের ছেলে মোঃ দবির হোসেন (৩৩) ও ঢাকা’র ভাটারা থানার জোয়ার সাহারা এলাকার মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে সুমন মিয়া (৩৭)।

র‌্যাব-১ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী হতে ফেন্সিডিলের একটি বড় চালান মৌসুমী শাক-সবজি বহনকারী ট্রাকে করে মাদক ব্যবসায়ীরা সোমবার রাতে ঢাকার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ গোপন খবর পেয়ে রাজধানী উত্তরা র‌্যাব-১ এর সদস্যরা গোপনে ট্রাকটির পিছু নেয়। মধ্যরাতে গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাছিমপুর স্টেশন রোডের (তিন রাস্তার মোড) পূর্ব পাশে ফুলকলি বেকারী ও মিষ্টি দোকানের সামনে মাদক চালান হস্তান্তরের সময় র‌্যাব সদস্যরা সেখানে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী চক্রের প্রধান ইমরান হোসেন ও তার ৬ সহযোগীসহ সাতজনকে গ্রেফতার করে। এসময় ৮২২ বোতল ফেন্সিডিল, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ১ টি ট্রাক, ৯ টি মোবাইল ফোন এবং মাদক বিক্রির সাড়ে ৯৬ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

র‌্যাব’র জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ইমরান হোসেন পেশায় একজন মোটরসাইকেল মেকানিক। গজীপুরের তারাগাছায় তার মোটরসাইকেল নিজস্ব গ্যারেজ রয়েছে। গ্যারেজে কাজের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে সে মাদক ব্যবসা করে আসছে। সে আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী। আটক অপর আসামী এজাজুল হক মাদক বহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাকের চালক এবং পিয়ারুল তার সহকারী। আসামী মনির হোসেন গাইবান্ধা হতে ঢাকা রুটে চলাচলকারী একটি যাত্রীবাহী বাসের হেলপার। তারা রাজশাহী এলাকা হতে মাদকের চালান এনে ইমরানের কাছে সরবরাহ করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত অন্যরা বিভিন্ন গার্মেন্টসের কর্মী ও ব্যবসায়ী। তারা ইমরানের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য ক্রয় করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খুচরা মূল্যে বিক্রি করতো। ইমরান ইতোপূর্বে ফেন্সিডিলের একটি চালানসহ র‌্যাব-১ এর হাতে আটক হয়েছিল। দুই মাস কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে সে পুনঃরায় মাদক ব্যবসা শুরু করে। প্রতি মাসে গড়ে ৭/৮ টি মাদকের চালান ক্রয় ও বিক্রয় করে থাকে বলে আটক ইমরান র‌্যাবকে জানিয়েছে। এব্যপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।