রাজধানীতে গত দু’দিন থেমে থেমে বৃষ্টি পড়ছে ।মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশ ছিলমেঘে ঢাকা। সঙ্গে ছিল ঘন কুয়াশা। দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীতে দেখা মেলেনি সূর্যের।রাজধানীর প্রেসক্লাব এলাকায় ব্যস্ত সড়কে তাকালে হোঁচট খেতে হয়। ভর দুপুরেও রাস্তা ফাঁকা, জনহীন। রোজ যেখানে থাকে হাজারো মানুষের আনাগোনা, রাস্তায় থাকে সারি সারি গাড়ি।সেখানে আজ বর্ষার আমেজ। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে ঢিলেঢালা ভাব নিয়ে দিন শুরু করেছে রাজধানী।

সোমবার (১৭ ডিসেম্বর)থেকে টানা বৃষ্টিতে কর্মজীবীদের নানা বিড়ম্বনায়ও পড়তে হয়েছে। শীত আর বৃষ্টি থাকায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে খুব একটা বের হচ্ছেন না অনেকেই।জন ও পরিবহন শূন্য রাস্তাঘাট আবহাওয়া অফিস বলছে, পৌষের শুরুতেই শীতের তীব্রতা খুব একটা বেশি না থাকলেও বৃষ্টির পর জেঁকে বসতে পারে শীত। তারা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় ফেথাইয়ের প্রভাবে আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হতে পারে। যদিও ঘূর্ণিঝড়টি ইতোমধ্যে দুর্বল হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি থাকতে পারে আরও দু-একদিন। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা নেমে গেছে। ফলে শীতের তীব্রতা বাড়বে।

রাজধানীতে গত দু’দিন থেমে থেমে বৃষ্টি পড়ছে। সায়েম রহমান প্রতিদিন মিরপুর থেকে মতিঝিল অফিস যান পাঠাওয়ের মোটরসাইকেলে চড়ে। মঙ্গলবার সকালে উঠে বৃষ্টি একটু বেশি দেখে মোটরসাইকেলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাদ দিয়ে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়ান। তিনি বলেন, মানুষের তুলনায় গণপরিবহন কম ছিল। অফিস সময়ে এমনিতেই এই এলাকায় চাপ অনেক। আজকে বেশিরভাগ বাসের দেখা মিলছিল না।তিনি বলেন,একেবারেই যাদের বের না হলে চলবে না তারাই এই পরিস্থিতিতে বের হয়েছে। এছাড়া শীতের তীব্রতা বাড়ায় বাসার শিশুদের নিয়ে মায়েরা নিজেদের প্রাত্যাহিক কোনও কাজে বের হচ্ছেন না।আবহাওয়াটাই ঢিলেঢালা উল্লেখ করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রহমান রশিদ বলেন, শীতের মধ্যে নিম্নচাপ হলে সেসময়টা ঢিলেঢালা কাটায় মানুষ। একদিকে শীতের প্রকোপে কাবু, আরেকদিকে এ সময়ের একটা আলাদা আমেজ আছে প্রকৃতি প্রেমীদের মধ্যে। তবে এবারের ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এমন পরিস্থিতি হতে পারে সেটি আগে খবর না পাওয়ায় হঠাৎ বৃষ্টিতে একটু অবাক হয়েছি।

বৃষ্টি ও শীতের কারণে নগরীতে হকার ও ছিন্নমূল মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ ফুটপাতের দোকানগুলো বসার সুযোগ পায়নি গত দুইদিন। ফার্মগেটে আলী হায়দার পাশের একটি মার্কেটে দাঁড়িয়ে আছেন।জন ও পরিবহন শূন্য রাস্তাঘাটতিনি বলেন, এই বৃষ্টিটা না থাকলে শীতের পোশাক বিক্রি এসময় ভালো হতো। ঝিরিঝিরি বৃষ্টির কারণে দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছে না। অপেক্ষা করছি আবহাওয়া ভালো হওয়ার।আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, সমূদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গভীর নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।