উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ না করায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ছয়জন এবং স্বতন্ত্র দুইজনের প্রার্থিতা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। পৃথক আবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বিএনপির যে ছয়জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা হলেন, জামালপুর-৪ আসনে ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম, বগুড়া-৩ আসনে আব্দুল মুহিত তালুকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে ে মোসলেম উদ্দিন, ময়মমনসিংহ-৮ আসনে মাহমুদ হোসেন, ঝিনাইদহ-২ আসনে আব্দুল মজিদ, জয়পুরহাট-১ আসনে ফজলুর রহমান এবং রাজশাহী-৬ আসনে আবু সাইদ চাঁদ। আদালতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ্ মঞ্জুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে যথাযথভাবে পদত্যাগ না করায় হাইকোর্টের আদেশে রংপুর-১ আসনে প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলুর। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত গঙ্গাচড়া উপজেলা চেয়ারম্যান। আসনটিতে মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাকে মনোনয়ন দেওয়ায় তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রাইভেটকার প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন। আসনটিতে ঐক্যফ্রন্ট থেকে নাগরিক ঐক্যের শাহ মো. রহমতউল্লাহকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও মসিউর রহমান রাঙ্গার সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হতো আসাদুজ্জামান বাবলুর এমন অভিমত এলাকাবাসীর।

প্রার্থিতা বাতিল হওয়া অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন ময়মনসিংহ-৮ আসনের মাহমুদ হোসেন। সিংহ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা মাহমুদ নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের টিকিটে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৮ আসনেও দলের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এ আসনে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামকে মহাজোটের প্রার্থী করায় এবং আওয়ামী লীগ কোনও প্রার্থী না দেওয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে দলীয় বিদ্রোহী হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন মাহমুদ। আসনটিতে গণফোরাম থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ নিয়ে লড়ছেন এ এইচ এম খালেকুজ্জামান।এর আগে এই আট প্রার্থী চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন তাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছিলেন। পরে কমিশনের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে পৃথক আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি শেষে তাদের প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ দেন হাইকোর্ট।