ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে জারি হলো রাষ্ট্রপতির শাসন। ১৯৯৬ সালের পর এই প্রথম সেখানে রাষ্ট্রপতির শাসন শুরু হতে যাচ্ছে। গত সোমবার ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতির শাসন জারির সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।বুধবার ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ রাষ্ট্রপতির শাসন জারির নির্দেশিকায় স্বাক্ষর করেন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই রাষ্ট্রপতির শাসন শুরু হবে সেখানে।

আজই জম্মু-কাশ্মীরে মেয়াদ শেষ হচ্ছে রাজ্যপালের শাসনের। রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের পাঠানো রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা যায়। চলতি বছরের জুন মাসে জম্মু-কাশ্মীরে রাজ্যপাল শাসন জারি করেছিল কেন্দ্র। ওই সময় সেখানে পিডিপি-বিজেপি জোট থেকে বিজেপি বেরিয়ে আসায় রাজ্যপাল শাসনের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত মাসেই নিজের ক্ষমতায় ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভেঙে দেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। তিনি জানিয়ে দেন, বিপরীত মতাদর্শের রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে জম্মু-কাশ্মীরে সরকার গঠনের চেষ্টা করছিল তা কখনই দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না। যদিও রাজ্যপালের বিধানসভা ভাঙার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হলেও সেই মামলা গত ১১ ডিসেম্বর খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত। ফলে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি আরো বেগতিক হয়।এই রাজনৈতিক সংকটে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে ফের নির্বাচন করা ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই কেন্দ্রের হাতে। কিন্তু যে হারে জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ ও অশান্তি মাথাচাড়া দিয়েছে তাতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাটাও বড় চ্যালেঞ্জ। ফলে এখন অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই।এত দিন ধরে জম্মু-কাশ্মীর বিশেষ রাজ্যের স্বীকৃতি পাওয়ার কারণে সেখানে সরাসরি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে পারছিল না কেন্দ্র। রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আগে নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যপালের শাসন জারি করতে হয়। ফলে রাজ্যপালের শাসন জারির পরই স্পষ্ট হয়ে যায় বিষয়টি।