বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আগ্রহী এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন- অ্যানফ্রেল এর সদস্যদেরকে ভিসা এবং পরিচয়পত্র ইস্যু না করায় হতাশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।গত ২১ ডিসেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মুখপাত্র রোবার্ট প্যালাডিনো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকায় হতাশা ব্যক্ত করে বলেন,নির্বাচনটি আদৌ আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণের স্বার্থেই আন্তজাতিক এই মনিটরিং মিশনের উপস্থিতি জরুরি ছিল।এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দল গঠিত হয়েছে ন্যাশনাল ডেমক্র্যাটিক ইন্সটিটিউট’ তথা এনডিআইর তত্ত্বাবধানে এবং সমস্ত ব্যয়ভার বহন করছে এনডিআইর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। কিন্তু যথাসময়ে ভিসা ইস্যু না করার পরিপ্রেক্ষিতে অ্যানফেল’তার নির্বাচন পর্যবেক্ষণের মিশন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল না যাওয়ার ঘাটতি পুষিয়ে নিতে স্থানীয় এনজিওর সমন্বয়ে গঠিত ‘ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্র“প সদস্যের পরিচয়পত্র দ্রুত ইস্যু করাটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, যাতে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের দায়িত্বটি সঠিকভাবে পালনে সক্ষম হন। এই গ্র“পের কিছু সদস্যের ব্যয়ভারও বহন করছে যুক্তরাষ্ট্র তথা ইউএসএইড।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব তুল ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, যে কোনো গণতান্ত্রিক নির্বাচনেই নিজ নিজ মতামত শান্তিপূর্ণভাবে প্রকাশের সুযোগ অবশ্যই থাকতে হয়। একইভাবে সভা-সমাবেশও অবাধে করতে হয়, নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক চর্চার কতটা উন্নতি হচ্ছে তাও স্বাধীন গণমাধ্যমের খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের তথ্য জানার অধিকার থাকতে হবে এবং সবারই হয়রানি-ধমকানি এবং ভয়-ভীতিহীন পরিবেশে নির্বাচনী সভা-সমাবেশ করা ও ভোট প্রদানের সুযোগ পেতে হবে।আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বাংলাদেশের নাগরিকরা নির্বিঘে এবং দ্বিধাহীন চিত্তে কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে বলে আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন।একাদশ সংসদ নিরবাচন পর্যবেক্ষণে ইসির নিবন্ধিত ১১৮টি দেশীয় সংস্থার মধ্যে ৮১টি সংস্থা আবেদন করেছে।এছাড়া অ্যানফ্রেল থেকে ৩২ জন এবং নেপালের বেসরকারি সংস্থা ভিপেন্দ্র ইনিশিয়েটিভ কেন্দ্র থেকে তিনজনের পর্যবেক্ষণের আবেদন এসেছে।বাংলাদেশে ৫২টি কূটনৈতিক মিশন থেকে শ’খানেক বিদেশি এবং স্থানীয় কর্মীদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আবেদন পেয়েছে ইসি। বিদেশি সংস্থার স্থানীয় কর্মীদের ‘স্থানীয় পর্যবেক্ষক’ হিসেবেই কার্ড দেওয়া হবে।চারটি বিদেশি সংস্থা ৩২ জনকে পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়ার আবেদন করেছে। বিদেশি সাংবাদিকদের আবেদন এসেছে আটটি।অন্যদিকে ফোরাম অব ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডিস অব সাউথ এশিয়া (এফইএমবিওএসএ), এ-ওয়েব, অ্যাসোসিয়েশন অব আফ্রিকান ইলেকশন অর্থরিটিসকে (এএইএ) নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ভারত, ভুটান এবং মালদ্বীপ থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর বিষয়ে নিশ্চিত করেছে।