বিশ্বব্যাপী সাইবার অপরাধ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের এ সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখার ওপর জোর দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।তিনি বলেছেন, একটি পেশাদার ও প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় উন্নয়ন এবং নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্ব অর্জনের জন্য সদা পরিবর্তনশীল যুদ্ধ-কৌশল ও তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।প্রযুক্তির প্রসার সাইবার ক্রাইমের মাত্রাকেও বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই তথ্যপ্রযুক্তি ও তার অপপ্রয়োগ সম্পর্কেও কর্মকর্তাদের সম্যক ধারণা থাকার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

রোববার মিরপুর সেনানিবাসের সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজে (ডিএসসিএসি) ন্যাশনাল ডিফেন্স -কোর্স ও এএফডব্লিউ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দির বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে ফোর্সেস-গোল ২০৩০ বাস্তবায়ন করছে।বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রেখে সরকার দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অসামান্য উন্নয়নের নজির স্থাপন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় রূপকল্প-২০২১, রূপকল্প-২০৪১ এবং ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ অনুসরণ করে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে।

তবে এ যাত্রায় সফলতার পাশাপাশি অনেক চ্যালেঞ্জ থাকার কথা মনে করিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, আমার বিশ্বাস, সদ্যসমাপ্ত প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আপনারা সে চ্যালেঞ্জসমূহ দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অনেক বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ও এএফডব্লিউ কোর্স সম্পন্নকারী কর্মকর্তাদের অ্যাওয়ার্ড ও সনদ দেন।ডিএসসিএসির শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সের এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট লে. জেনারেল শেখ মামুন খালেদ বক্তব্য দেন।এর আগে রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকী। তিন বাহিনীর প্রধানসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রপতি কোর্স সম্পন্নকারীদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন এবং পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।