অবৈধ অস্ত্র আইনের একটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা উইংয়ের (সিএসএফ) সদস্য বিমানবাহিনীর সাবেক স্কোয়াড্রন লিডার ওয়াহিদুন নবীকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া এ আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।

এর আগে মামলারটির তদন্তকারী কর্মকর্তা আদাবর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মতলুবুল আলম তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। এরও আগে গত ২২ ডিসেম্বর আদালত সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়। শুনানি শেষে এ আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার বাদী র্যা ব-২ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মনোয়ারুল ইসলাম জানতে পারেন যে, আবুল আরাফাত আমির আহমেদ এবং আব্দুল্লাহ আলী জাবিদ নামের দুইটি ফেসবুক আইডি থেকে বিভ্রান্তিকর ও উস্কানিমূলক তথ্য প্রকাশ করে বিচার বিভাগ ও সেনাবাহিনীসহ জাতীয় সব প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জনগণের মধ্যে বিরূপ ধারণা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের গ্রেপ্তারে লক্ষ্যে রাজধানীর শ্যামলীতে রাজ ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে গত ২০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত আইডির ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়। ফেসবুকে তাদের অপপ্রচারের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা তাদের সাইবার উপদেষ্টা হিসেবে ওয়াহিদুন নবী ও জনৈক ইমরান কাজলের নাম প্রকাশ করেন।

পরে তাদের দেওয়া তথ্য মতে ওইদিন রাত ১২টার পর শ্যামলী সিনেমা হলের পাশের ইউসিবি এটিএম বুথের সামনে থেকে ওয়াহিদুন নবীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় তার দেহ তল্লাসী করে একটি পিস্তল ও ১৬ রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। যার বৈধ লাইনেন্স তিনি দেখাতে পারেননি। অন্যদিকে ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর ও উস্কানিমূলক তথ্য প্রকাশ করার অভিযোগে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।