অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এবার নির্বাচনী পরিবেশ অনেক ভালো বলে দাবি করেছে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম। একই সঙ্গে তারা জানায়, ফোরামের ১০ জনসহ ১৬টি দেশের ১৭৮ বিদেশি পর্যবেক্ষককে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরমধ্যে রয়েছেন কানাডা, মালেশিয়া, ভারত, শ্রীলংকা ও নেপালের প্রতিনিধি।

রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ৩১টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংগঠন ও ২৬টি এনজিওর সমন্বয়ে গঠিত ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আবেদ আলী। উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সেবক’-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান মো: বাবুল, হাই লাইট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. সাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকদের কাছে বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের ওপর হামলার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনো উত্তর দেননি তারা। তবে বাঙালি জাতির জন্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি স্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, একাদশ সংসদ নির্বাচনকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্য করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন ১৬টি দেশের ১৭৮ বিদেশি পর্যবেক্ষককে নিবাচন পর্যবেক্ষণ করার অনুমোদন দিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে কানাডার লেবার মার্কেট প্ল্যানিংয়ের এনালাইসিস্ট তানিয়া দেওয়ান পস্টার, মানবাধিকার কর্মী চ্যালি দেওয়ান পস্টার, মালেশিয়ার চেনজিং লাইভসের প্রজেক্ট ডিরেক্টর হারতিনি বিনতিয়া জাব্বার, মালেশিয়ার হিউম্যান এইড অ্যান্ড রিলেফের চেয়ারম্যান জেসমি আজাহারী বিন জোহারী, ভারতের কলকাতা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কমল ভট্টাচার্য, কলকাতা জর্জকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ড. গৌতম ঘোষ, শ্রীলংকার সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের গবেষক মোহাম্মদ এহসান ইকবাল, নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী হাকিকুল্লাহ মুসলিম, সাবেক সংসদ সদস্য নাজির মিয়া, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদীন আলী প্রমূখ।