বরাবরের মতো এবারও ইংরেজি বছরের প্রথমদিনে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র এমনই; সারা দেশ মেতেছে বই উৎসবে।গত ২৪ ডিসেম্বর নতুন বছরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।মঙ্গলবার সকালে আজিমপুর সরকারি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। মন্ত্রী জানালেন, এবছর চার কোটি ২৬ লাখ ১৯ হাজার ৮৬৫ জন শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮২ খানা বই। আর ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৯৬ কোটি ৭ লাখ ৮৯ হাজার ১৭২টি বই বিতরণ করা য়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মকে আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশ গড়ায় বড় ভূমিকা পালন করতে হবে।বই উৎসবের সূচণায় মন্ত্রী আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী নুসরাত ইশা, গভার্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির সোলায়মান তানভীর রাজ, লালবাগ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মেহেদী হাসান অমিত, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের আবিদ হাসান সিদ্দিকী, হাজারীবাগ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের কারিগরি ভোকেশনাল বিভাগের নবম শ্রেণির জান্নাতুল আফরিন, হাফেজ আব্দুর রাজ্জাক জামেয়া ইসলামিয়ার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ফাউজিয়া নওরিন বুশরার হাতে বই তুলে দেন।

মিরপুর রূপনগরের বার্ডো স্কুল থেকে আসা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী মো. ওবায়দুল হকও মন্ত্রীর হাত থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির ব্রেইল বই নেয়।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উদ্যোগে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজন করা হয় ‘বই বিতরণ উৎসব ২০১৯’।উৎসবে ঢাকার রমনা, ধানমন্ডি, লালবাগ, কোতোয়ালীসহ বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন বই ৷আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার৷ তবে অসুস্থতার কারণে অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি তিনি। তবে ফোনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন মন্ত্রী ৷ উৎসব আয়োজকদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে দেশের ৫০৮টি উপজেলার প্রাথমিক স্তরের ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৭টি বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের ২ কোটি ৩৯ লাখ ৬৫ হাজার ১৫১ জন শিক্ষার্থীদের হাতে ৩৪ লাখ ২৮ হাজার ১০টি ‘আমার বই’ ও অনুশীলন খাতা এবং ৯ কোটি ৮৮ লাখ ৯৯ হাজার ৮২৪টি বই বিতরণ করা হবে ৷এ ছাড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আওতাভুক্ত প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ২ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮টি পাঠ্যপুস্তক ছাপানো হয়েছে ৷

ফেনী: সারাদেশের ন্যায় ফেনীতেও একযোগে উৎসব মুখর পরিবেশে সাড়ে ৩৪ লাখ বই বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বছরের প্রথম দিনে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান ফেনী সরকারী বালিকা উচচ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।জেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, এবার ২০১৯ সালে ফেনী জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে ৩০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন লাখ ১২ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে ২৭ লাখ ২৪ হাজার বই ও প্রাথমিক পর্যায়ে ৯৭৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক লাখ ৫০ হাজার ৩৭৮ শিক্ষার্থীর মাঝে ৭ লাখ ১৬ হাজার ৬৩৭ বই একযোগে বিতরণ করা হয়।

এদিকে সদর উপজেলার বালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা, বর্ণিল আয়োজনে ও আনন্দঘন পরিবেশে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শুসেন চন্দ্র শীল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য আবুল কালাম আজাদ, প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন অভিভাবক সদস্য মোজাম্মেল হক, জসিম উদ্দিন, হাবিবুর রহমান, আজিজুর রহমান চৌধুরী। সিনিয়র শিক্ষক অরুণ চন্দ্র শর্মা সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী বিনতে ইয়াসমিন মিতু, নুসরাত জাহান তন্বী প্রমুখ।অপরদিকে ফেনী শিশু নিকেতন কালেক্টরেট স্কুলে বই বিতরণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুজন চৌধুরী, এসময় সভাপতিত্ব করেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মফতুজ আরা। ফেনী হলি ক্রিসেন্ট স্কুলে বই বিতরণ করেন স্কুল পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আবু হানিফ ভূঞা মহসিন ও প্রধান শিক্ষক লুনা ফেরদৌস। ফেনী জেলা শিা কর্মকর্তা কাজী সলিম উল্যাহ বলেন, ডিসেম্বরের আগেই আমরা জেলা প্রতিটি শিা প্রতিষ্ঠানে চাহিদার আলোকে বই সরবরাহ করেছি। একযোগে জেলার প্রতিটি শিার্থী বছরের প্রথম দিন নতুন বই হাতে পেয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: বছরের প্রথম দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অন্তত ৬৫ লাখ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে স্থাানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বই বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান। এতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গৌতম চন্দ্র মিত্রের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র নায়ার কবীর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক প্রমূখ। পরে অতিথিবৃন্দ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করেন। এ বছর জেলায় ২৪৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৫ লাখ ৫২ হাজার ৯২০ টি বই এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৩৯ লাখ ৫৬ হাজার ৯৬১ টি বই বিতরণ করা হয়।

কোম্পানীগঞ্জ: ইংরেজী বছরের প্রথম দিনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বই উৎসব পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার ১ম শ্রেণী থেকে ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যবই তুলে দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিাত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ইলিয়াছ, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ কামাল পারভেজ প্রমূখ। উল্লেখ্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী ও ৩৩টি মাধ্যমিক ও ১৬টি মাদ্রাসায় ২২হাজার শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়।

গৌরনদী : নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে শিক্ষার্থীদের মাঝে মঙ্গলবার সকালে এক যোগে নতুন বই বিতরণ করা হয়।এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০ টায় গৌরনদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম টিটুর সভাপতিত্বে বই বিতরন অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাছরিন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ফয়সল জামিল, গৌরনদী উপজেলা প্রেসকাবের সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন মিয়া, সহকারী শিক্ষা অফিসার বদিউজ্জামান, নাদিরা আফরিন, আব্দুল মন্নান মিয়া, পলাশ সরদার, মাহাবুবুর রহমান, বজলুর করিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা খান শামচুল হক, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি বীর মুত্তিযোদ্ধ দেলোয়ার হোসেন। বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষিকা হোসনেয়ারা খানম, সহকারী শিক্ষক হামিদা বেগম, ঝুমুর দেবনাথ, হামিদা পারভীন, মিজানুর রহমান, আব্দুর রহমান, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরন করা হয়। অপর দিকে দুপুরে উপজেলার ৩ নং মাগুড়া-মাদারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণ অনুষ্টান উপলক্ষে এক আলোচনা সভা স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি সত্তার তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আব্দুল মন্নান মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার গৌরনদী উপজেলা প্রেসকাবের সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন মিয়া, গৌরনদী রিপোর্টাস ইউনিটির সহ-সম্পাদক এসএম মিজান, দপ্তর সম্পাদক মোল্লা ফারুক হাসান। বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক অমিয় রানী, সহকারী শিক্ষক ও উপজেলা সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি আবু হানিফ, বিপ্লব সরকার, ঝন্টু সরকার, সনিয়া আক্তার, রাসেল খান প্রমুখ। শেষে ১৩৭ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হয়। একই সময় রামসিদ্ধি বাজার, নিলখোলা, বড় কসবা, লাখেরাজ কসবা, কটকস্থাল, পশ্চিম খাঞ্জাপুরসহ ২৭ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪টি আলীম মাদ্রাসা, ১২৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৯টি এবতাদীয়া মাদ্রাসায় বই বিতরণ করা হয়।

পাবনা: ‘নতুন বছরের নতুন দিন, নতুন বইয়ে হোক রঙিন’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখেই সারা দেশের ন্যায় পাবনায় উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন শিা প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাত লাখ শিার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে বই উৎসব। মঙ্গলবার সকালে পাবনা জেলা স্কুল চত্ত্বরে শিার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে পাবনায় বই উৎসবের কার্যক্রম শুরু করেনা জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন। এ সময় ‘নতুন বছরের নতুন দিন, নতুন বইয়ে হোক রঙিন’ শ্লোগানে স্কুল প্রাঙ্গণ মুখরিত করে তোলে শিক্ষার্থীরা।পাবনা জেলা স্কুলের প্রধান শিক ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে বই উৎসবের অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন, শিা বিভাগের কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিাত ছিলেন। জেলা শিা অফিস জানায়, বই উৎসবে একযোগে জেলার ১ হাজার ৬৫২টি শিা প্রতিষ্ঠানের ৭ লাখ ৫৭ হাজার শিার্থীর মধ্যে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে।

পাঁচবিবি : মঙ্গলবার জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন বই বিতরণ উৎসব পালিত হয়। সমিরণ নেছা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্তরে পৌরসভার ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে বই বিতরণের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য এ্যাডঃ সামছুল আলম দুদু। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব, উপজেলা আঃলীগ সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক মন্ডল, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম ও আতিকুর রহমান, প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন, সভাপতি এটিএম জাহিদুর রহমান রানা প্রমুখ।

রাজারহাট: কুড়িগ্রামের রাজারহাটে শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠ্যপুস্তক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১লা জানুয়ারী মঙ্গলবার উপজেলা শিক্ষা বিভাগের আয়োজনে রাজারহাট মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রাজারহাট সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহঃ রাশেদুল হক প্রধান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিাত ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোরাইশী লায়লা ফেরদৌসী বীথি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুনুর মোঃ আক্তারুজামান, সাংগঠনিক সম্পাদক সহ. অধ্যাপক সাজেদুর রহমান মন্ডল চাঁদ, রাজারহাট ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ এনামুল হক, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুস ছালাম. উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আতিকুর রহমান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আশরাফ-উজ-জামান, প্রধান শিক্ষক মোঃ নুর ইসলাম ও মোঃ হাফিজুল ইসলাম প্রমূখ। এবারে উপজেলার ১৫৮টি প্রাথমিকে, ৪১টি মাধ্যমিকে এবং ২৯টি মাদরাসার স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে পাঠ্যপুস্তক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঈশ্বরদী : ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জয়নগর পিজিসিবি উচ্চ বিদ্যালয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। নতুন বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিাত ছিলেন, সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা।জয়নগর পিজিসিবি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিাত ছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পিজিসিবি জয়নগর মোঃ আলমগীর হোসেন ও সহকারি প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এছাড়া শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা উপস্থিাত ছিলেন।

ফরিদপুর: বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বছরের প্রথম দিনে বই উৎসবে মাতলো ফরিদপুরের দুই লাখের বেশী শিক্ষার্থী। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে শহরের সারদা সুন্দরী বালিকা বিদ্যালয় চত্বরে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক বেগম উম্মে সালমা তানজিয়া।এ সময় অন্যদের মধ্যে ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার পরিমল চন্দ্র মন্ডল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুবা আক্তার, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ওহিদুর রহমান, প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।এছাড়াও জেলা জুড়ে সকল প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নতুন বই বিতরন করা হয়।এবছর ফরিদপুরে ২ লাখ ৯ হাজার ৭২ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে ২৮ লাখ ৩৫ হাজার ০৪ শত ৩৩ খানা বই বিতরন করা হয়েছে।