জাতীয় পার্টি (জাপা) সরকারে থাকবে নাকি বিরোধী দলে থাকবে, তা আগামীকালের পার্লামেন্টারি পার্টির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে থাকা সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন এই পার্টি বর্তমানে মন্ত্রিসভায়ও আছে, পাশাপাশি বিরোধী দলেও আছে।

আগামী সরকারেও একই ধারাবাহিকতা থাকবে, নাকি দলটি শুধু বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে তা নিয়ে আজ বুধবার দলটির যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি বৈঠকে দলটির সংসদীয় নেতাও মনোনীত করার কথা। বুধবার রাজধানীর বনানীতে পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বেলা ১১টায় শুরু হয়ে দুপুর ২টায় শেষ হয়। যৌথ সভা শেষে সংবাদিকদের মুখোমুখি হন জাতীয় পার্টির নেতারা। তবে অসুস্থতার কারণে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। উপস্থিত ছিলেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের। গতকালই এরশাদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, তাঁর অবর্তমানে জি এম কাদেরই হবেন পার্টির চেয়ারম্যান। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাপা মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, আগামীকাল পার্লামেন্টারি বোর্ডে সিদ্ধান্ত হবে জাতীয় পার্টি সরকারে থাকবে নাকি বিরোধী দলে থাকবে।অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের অনেকেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। মাননীয় চেয়ারম্যান তাদের সেই ক্ষমতা দিয়েছেন। যেহেতু বিষয়টি একান্তই পার্লামেন্টের বিষয়, তাই এ বিষয়ে পার্লামেন্টারি পার্টিতেই সিদ্ধান্ত হবে।

গত রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণপর্ব শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী জোট ও দলগুলোকে বহু পেছনে ফেলে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। যদিও এই নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে বিরোধীদের।ফল অনুসারে দেশব্যাপী ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৮৭টিতেই মহাজোট জয়ী হয়। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির রয়েছে ২২টি আসন। অপরদিকে বিরোধী পক্ষ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে ছয়টি আসন। এরই মধ্যে নবনির্বাচিতদের গেজেট গতকাল রাতে প্রকাশ করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সংসদ সদস্যদের শপথের জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে সংসদ সচিবালয়।