পৃথিবীর কোথাও দেখিনি বা শুনিনি যে একটি দেশে দিনের ২৪ ঘন্টার পুরোটা সময়ে অরাজকতা, ঘুস, দূর্নীতি অন্যায়, অত্যাচার, ঘুম, খুন-খারাপি তে ভরা যা নাকি বাংলাদেশে শুধু বর্তমান সরকারের সময় ঘটেছে। সেই জাতি সব যেনে শুনেও ঠিক সেই সরকারকেই বিপুল ভোটে পাশ করালো? তাহলে কি জাতির মুদ্রাদোষ নাকি খাসলাতের দোষ কমপ্লেন করা? কিছুই তো বুঝতে পারছি না?

আমি তো হতভম্ব হয়ে গেছি! বলতে গেলে ৯০% বেশির লোকই এই সরকারের কাজকর্মে খুশি তাহলে কেনো প্রতিদিন ধর্মঘট লুটপাট অবৈধ কাজ কর্ম? কারা এসব করে? এরা কোথায়? বা এরা কখন দেশ থেকে পালাল, তাও ঠিক ইলেকশনের আগের মুহুর্তে? অবাক!? বাংলাদেশ অবাক করেছে আমাকে!  নাকি আমার ভাবনায় যা আমাকে এই মুহুর্তে লিখতে বাধ্য করছে তা হলো ১৯৭১ সালে বাংলার স্বাধীনতার সঙ্গে জন্ম নিয়েছে শাসন, শোষণ আর ভাষণের। হোক না সে বিএনপি, হোক না সে মৌলভিবাদি, হোক না সে জাতীয় পার্টি, হোক না সে আওয়ামী লীগ, হোক না সে স্বতন্ত্র পার্টি, হোক না সে ধান্দাবাজ উদ্দেশ এক ও অভিন্ন। পার্থক্য রয়েছে শুধু একটি তা হলো বর্তমান ক্ষমতাশীল সরকার শাসন, শোষণ এবং ভাষণের পুরো ১০০% সুযোগ পেয়েছে এবারের ইলেকশনে, বিধায় ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১০ কোটির ভোট দেবার অধিকার ছিল বটে তবে তার অর্ধেকের বেশি ভোট, ভোট শুরু হবার আগেই ব্যলোট বক্সে মিরাকেল ভাবে ঢুকে গেছে যা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী থেকে শুরু করে পুলিশ বাহিনী আনসার, র‍্যাব সরকারি কর্মরত ব্যক্তিবর্গ, বিরোধী দলের লোক এবং স্বয়ং ভোটাররাও তা জানে না। বাকি ভোট বাকিরা দিয়েছে সবার সম্মুখে। শাসনতন্ত্রের দেশে এমনটিই হয়ে থাকে। ক্ষমতাশীল সরকার স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষমতায় রয়েছে পুরো ইলেকশনের সময় বিধায় যা তারা শোষণ করেছে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে। তার বেশির ভাগ অংশ কিন্তু দেশের সরকারি কর্মচারীদের ভাগবন্টন করে দিয়েছে, যার কারণে পুরো প্রশাসন বর্তমান সরকারকে ১০০% সাহায্য করেছে এবারের ইলেকশনে জয়লাভ করাতে।

বাংলার সরকারি কর্মচারিরা বেঙ্গমান নয়। এরা যার নুন খায় তার গুনও গায়। বাংলাদেশে ভাষণ সবাই দিতে পারে তবে শোনার লোকগুলো কিন্তু আওয়ামী লীগের মিটিংয়ে বেশি ছিল। তাদের সব মিটিংয়ে হাজারও লোকের ভিড় দেখা গেছে কারণ স্বাসিত সরকারের এমপি, মন্ত্রী তাঁরাই তো তখন ভাষণ দিয়েছে তাই পাবলিক মনের আনন্দে দলে দলে এসেছে চা-কফির সঙ্গে কিছু বিস্কুট নিশ্চয় ছিল বা পান বিড়ি বা সিগারেটের অভাবও নিশ্চয় ছিলো না। সব মিলে গতকাল ইতি ঘটেছে গণতন্ত্রের আগামী পাঁচ বছরের জন্য। আমি গত এক বছর ধরে ভাষণ নয়; শাসন নয়; শোষণও নয় তবে লিখেছি। বারবার লিখেছি সু-শিক্ষাই আনতে পারে পরিবর্তন অন্য কিছুতে দেশের পরিবর্তন আসবে না। ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে শুধু নিজেকেই সংগ্রাম করতে হবে অন্য কেউ তা গড়ে দিবে না। জনগণের কোন ক্ষমতা কোনদিনই ছিল না এখনও নেই। বিশেষ করে গরীব দেশে।

ক্ষমতা তাদের কাছে যারা দেশের দায়িত্বে রয়েছে। যারা সরকারি চাকরিতে ক্ষমতাশীল তারা। এদের সংখ্যা বেশি নয় তবে এদের ক্ষমতা অনেক বেশি একটি গরীব দেশে। জনগণের ভোটের অধিকার আছে ঠিকই কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা ভোট দিতেই পারেনি। কারণ জনগনের যে অস্ত্রের প্রয়োজন তা নেই। তাদের নেই ভালো শিক্ষা, তাদের নেই সুশিক্ষা, তাদের নেই অর্থনৈতিক বা সামাজিক সচেতনতা। তাই তাদের গণতন্ত্রের অধিকার নেই বিশেষ করে দরিদ্র দেশের মানুষের জন্য। বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। আমাদের এই সমাস্যার পেছনে রয়েছে অনেক কারণ। তবে একটি জিনিস বিশেষ কারণ যা আমার মনে ধরেছে তাহোল, বাংলার মানুষ ফুটবল খেলে শয়নে স্বপনে আর তা দেখে নিশি জাগরণে নয়ন ভরে প্রতি চার বছর পরপর। আর একটি কাজ করে তা হলো দেশ প্রেমিক হয়ে দেশের জন্য জীবন দেয় শয়নে স্বপনে এবং জাগরণে প্রতি পাঁচ বছর পরপর যখন ইলেকশনের সময় আসে। বিশ্বকাপ খেলা শেষে ভুলে যায় তারা যেমন বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঠিক একইভাবে রাজনীতির ইলেকশনের কথাও তারা ভুলে যায় ইলেকশনের পরের দিনে। শুধু রাজনীতিবিদরা এই ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে হয়ত হবে ৫% লোক, যারা দেশের সাধারণ জনগনকে ব্যবহার করে তাদের জীবনের সুযোগ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে চলছে। যেমনটি করেছিল বৃটিশ, পাকিস্তান। কি করা যেতে পারে এর থেকে রেহায় পেতে হলে তা কি ভাবার সময় এখনও হয় নি? নাকি কেউ আমার মত করে এই অপ্রিয় সত্যকে তুলে ধরেনি এর আগে তাই কেউ ভাবতে শুরু করেনি? যেটাই হোক না কেনো আমার প্রশ্ন, জাতি কি তাহলে দেশের রিয়েল পরিবর্তন আনতে চাই বা নিজেও পরিবর্তন হতে চাই? জীবন চলার পথ শতটা থাকতে পারে তবে জাতিকে বেছে নিতে হবে একটা।

আমি মনে করি মানুষের মত বেঁচে থাকার সহজ সরল পথ একটাই তা হলো নতুন প্রজন্মকে আর দেরি নয়; আজ থেকেই শপথ করতে হবে সুশিক্ষা গ্রহণ করে বিদেশে বা দেশের বড় বড় সুযোগগুলো নিতে হবে এবং নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে হবে তখন হবে দেশের পরিবর্তন আনা সম্ভব। আমি নিজে বাংলাদেশের অত্যন্ত সাধারণ পরিবারের ছেলে, এইচএসসি পাশ করে দেশ ছেড়ে কঠিন নয় মোটামুটি পরিশ্রম করে গড়েছি নিজের জীবন। যে জীবনে রয়েছে স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক সাফল্যতা, যখন যা খুশি (ভালো) করতে পারা, মনের ভাব প্রকাশ করা, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ভ্রমন করা। সবই করা সম্ভব কারণ একটিই তা হলো সু-শিক্ষা যা যতই বিক্রি করছি ততই তার মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমার জীবন চর্চা করলে মনে পড়ে যাবে ছোট বেলার সেই গানের কথা “আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে, নইলে কি ভাই রাজার সাথে মিলব কি শর্তে,আমরা সবাই রাজা”।
ভাবতে অবাক লাগারই কথা! “288 out of 299! More than 96%. Sensible minds in Europe can not understand and accept such figures in any democracy, because, they are leaving in their safe and secured zone. Realities in the fields in countries like Bangladesh, are so much different from their picture from virtual world and social media.

In today’s BD, the battle is not between the haves and have nots, the battle is not between the rich and the poor, the fight is not between the educated and the illiterate people. The battle is not so much about ideology, religion, secularism, democracy. The fight is indeed, between the power greedy rich people competing for more wealth and more power destroying the opponents of similar types. The judges are fighting judges, the teachers are fighting teachers for better positions, the doctors in opposite poles, the business communities are also divided.

The common people are happy to get their stakes from the corrupt money from the development projects. The common people are content with the development works creating jobs for them, they earn more from working in the garment sectors or going abroad, or even working in their village home.  They have never earned so much before, they have never had so much food or they were never so well dressed in the past. They have better houses, their children go to school and get free books, they get free community health care.

Both male and female workers can get domestic jobs at any time, and can negotiate salary. They do not care to or are able to foresee democratic principles, rights and responsibilities, and essential elements for their future generations.They are already global citizens because they have smart phones and they fly abroad to earn foreign currency. They care about today and tomorrow. Actually, this is true and real life and so do we all”.

তাই দেশের নতুন প্রজন্মদের বলতে চাই, আর প্রজা নয় রাজা হবার স্বপ্ন দেখ এবং তা বাস্তবায়ন করতে শুরু কর। অন্ধকার হয়েছে যখন মনে রেখো আলো আসবেই। প্রশ্ন কত ঘন্টা পরে? ইলেকট্রি আলো নেই জীবনে? যেমন মামা-চাচা নেই? চাঁদের আলো ব্যবহার কর, তাও কি মেঘের আড়ালে ঢাকা পড়েছে? দিয়াশলায়ের কাঠি দিয়ে দ্বীপ জ্বালো।  তাও যদি না থাকে অপেক্ষা কর, তবু বসে থেকো না। শুনেছি চোর শোনে না ধর্মের কাহিনী; তাই ধর্মের নয় বলি কিছু নিজের জীবনের কর্মের কাহিনী। বিদেশে থেকেও দেশকে ভালোবাসা সম্ভব যার প্রমাণ আমি নিজে। মনে রেখো মুখের থুথু ফেলছ যখন তখন তা তুলে নেবার চেষ্টা করবে না।

যারা দরিদ্র মানুষকে সামান্য সাহায্যের বিনিময়ে তাদের শোষণ করে, তাদের ঘৃণা কর। দূর্নীতিকে ঘৃণা কর। অন্যায়কে ঘৃণা কর। যারা রাষ্ট্রের কর্মরত অথচ শোষণ করছে তাদেরকে ঘৃণা কর। মানবতা এ মনুষ্যত্বকে ভালোবাসো। জয় তোমাদের হবেই। জন্ম যখন হয়েছে মানুষের ঘরে দূরে সরে দানবের মত হয়ে বেঁচে থেকো না। নতুন বছরের প্রতিজ্ঞায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হও এমনটি প্রত্যাশায়।

রহমান মৃধা, দূরপরবাস সুইডেন থেকে, rahman.mridha@gmail.com