রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কলেজশিক্ষক কৃষ্ণা কাবেরী হত্যা মামলায় আসামি জহিরুল ইসলাম পলাশকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।রায়ের সময় আসামি জহিরুল পলাতক ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ ছাড়া একই মামলায় কৃষ্ণা কাবেরীর স্বামী সীতাংশু ও দুই মেয়েকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জহিরুলকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। আসামি জহিরুল গ্রেপ্তার অথবা আত্মসমর্পণের পরে এ দন্ড কার্যকর হবে বলে রায়ে বলেছেন আদালত।

২০১৬ সালের ৩০ মে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে জহিরুলকে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল এ মামলায় বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। এর পরে ২৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেন আদালত।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ সন্ধ্যার পর মোহাম্মদপুরে ইকবাল রোডের বাসায় কাবেরীর স্বামী সীতাংশুর জন্মদিনে কেক, মিষ্টি ও মোমবাতি নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন জহিরুল। কেক কাটার পর কৌশলে সীতাংশুকে চেতনানাশক মেশানো ফলের জুস পান করিয়ে অচেতন করার পর তাঁকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর চেষ্টা করেন জহিরুল।এ সময় কৃষ্ণা বাধা দিতে গেলে জহিরুল দুজনকেই এলোপাতাড়ি পেটান। পরে মোমবাতি থেকে কৃষ্ণার শাড়ি ও ঘরে আগুন ছড়িয়ে যায়। আহত কৃষ্ণাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরের দিন তাঁর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় জহিরুল ইসলামকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। এর পরে জহিরুলকে আটক করে পুলিশ। বেশ কিছুদিন কারাগারে থাকার পর হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন জহিরুল। এর পরে পলাতক হয়ে যান। তাঁর অনুপস্থিতেই আজ এ রায় দেওয়া হলো।