ব্যবসায়িক নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য নিয়ে সোমবার গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কের চটপটি হাউজে হামলা ও ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষের যুবকরা। এসময় তার কফি হাইজে তালাবদ্ধ করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পার্কের গেইটম্যান মো. সোহেল রানা, কফি শপের কর্মী আমিনুল ইসলাম ও চটপটি হাউজের কর্মী জনি জানান, গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে এস এম এন্টারপ্রাইজ নামের কফি হাউজ ও চটপটি হাউজ ইজারা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে পরিচালনা করে আসছেন শ্রীপুর উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি কবির হোসেন। একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠাণের পর গত কয়েকদিন ধরে ওই হাউজগুলোর ব্যবসায়িক নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য নিয়ে স্থানীয় কয়েক যুবকের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। সোমবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় জুয়েল, মাহফুজের নেতৃত্বে জহিরুল ও কামরুল পক্ষের ২০জন যুবক লাঠিসোটা ও ১৫-১৬টি মোটরসাইকেল নিয়ে ভিআইপিদের ফটক দিয়ে জোর করে পার্কের ভেতরে ঢুকে। এসময় বাধা দিলে যুবকদের সঙ্গে গেইটম্যান মো. সোহেল রানার কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের ছবি উঠাতে গেলে যুবকরা সোহেলকে মারধোর করে। তারা সোহেলের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে মোবাইল থেকে ছবি মুছে তা ফেরত দেয়। পরে যুবকেরা কফি ও চটপটি হাউজে গিয়ে কয়েকটি চেয়ার ভাংচুর করে তালা আটকে দেয়। এসময় চটপটি হাউজের কর্মী জনিকে তারা মারধোর করে। পরে পার্ক কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে যুবকরা চাবি ফেরত দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

সাফারী পার্কের ফরেষ্ট বিট কর্মকর্তা মো. আঙ্গুর হোসেন জানান, যুবকেরা আকষ্মিকভাবে পার্কে ঢুকে কিছু ঘটনা ঘটিয়ে আবার আকষ্মিকভাবে চলে যায়। বর্তমানে কবির হোসেন ইজারা নিয়ে বৈধভাবে পার্কে ওই ব্যবসা পরিচালনা করছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষরা তাদের ব্যবসা দখল বা নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ট্যুরিস্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর শরীফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় যুবকরা নিজেদের মধ্যে বাগবিতন্ডা ও হাতাহাতি করার খবর পাওয়া গেছে। তবে ভাংচুর বা তালা আটকানোর বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। শ্রীপুর থানার ওসি জাবেদুল ইসলাম জানান, দুপুর তিনটা পর্যন্ত এমন কোনো ঘটনার খবর তিনি পাননি। এ ব্যপারে অভিযুক্ত মাহফুজ জানান, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। এসব সাজানো অভিযোগ।