দুর্নীতি মামলার সাজায় কারাগারে থাকা খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার আত্মীয়-স্বজনদের দেখা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।সোমবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, গত তিন সপ্তাহে আত্মীয়রা কেউ খালেদা জিয়া সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পাননি কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।আমাদের চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব, আত্মীয়-স্বজন ও দলের সিনিয়র নেতাদের সাক্ষাতের জন্য বার বার আবেদন করার পরও কারা কর্তৃপক্ষ কোনো কর্ণপাত করছে না। কারাবিধি অনুযায়ী ৭ দিন পরপর বন্দিদের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ আছে। অথচ দেশনেত্রীর ক্ষেত্রে এই বিধান করা হল ১৫ দিন পর পর। এখন সেই বিধানকেও সরকারের নির্দেশে কারা কর্তৃপক্ষ অগ্রাহ্য করছে।

রিজভী অভিযোগ করেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বন্দিদের আইনসম্মত অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে।এই নিষ্ঠুর আচরণ কীসের ইঙ্গিতবাহী? বিশাল লাল দেয়ালের মধ্যে রুদ্ধকপাট মুক্তিহীন বেগম জিয়াকে অন্তরীণ রেখে বাইরের দুনিয়া থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করার পাঁয়তারা চলছে।অবিলম্বে খালেদা জিয়ার সঙ্গে নিকট আত্মীয়দের সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, নিকট আত্মীয়দের দেখা করতে না দেওয়াটা রীতিমতো কঠিন মানসিক নির্যাতন। এ নিয়ে শুধু তার আত্মীয় স্বজনরাই নয়, দেশবাসী উদ্বেগাকুল ও উৎকণ্ঠিত।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমামের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন জনগণের ললাটে এক বিষাক্ত কাঁটা। অথচ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেছেন, এবারের নির্বাচনের শৃঙ্খলা আগামীবারেও থাকবে। সাবাস এইচটি ইমাম সাহেব। আপনি আত্মমর্যাদাহীন, অনুশোচনাহীন, আজ্ঞাবাহী একজন মানুষ, আগামী নির্বাচন নিয়ে এই ধরনেই অঙ্গীকার করা ছাড়া আর কি-ই বা বলার থাকতে পারে আপনার।বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিবেক বিক্রি করা এইচটি ইমাম সাহেবরা মানুষের ভোট কেড়ে নিতে কত দ্বিধাহীন, কত নির্লজ্জ। ভোগ-লালসায় অস্থির থাকায় এদের কাছে মানবিক বিবেচনাগুলো হারিয়ে গেছে। এরা ক্ষমতা ধরে রাখতে পুলিশের বুটের তলায় মানুষের ভোটাধিকার চেপে দেওয়ার যে কলঙ্কজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, সেটারই পুনরাবৃত্তি করার অঙ্গীকার করলেন আগামী নির্বাচনের জন্য।সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য নাজমুল হক নান্নু, অধ্যাপিকা সাহিদা রফিক, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।