সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।মঙ্গলবার সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ মন্তব্য করেন দুদক চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, দুর্নীতি দমনে সরকারের যে অঙ্গীকার তাতে দুদক আত্মবিশ্বাসী। নতুনভাবে আরো দৃঢ়তার সঙ্গে দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করবো আমরা। ইকবাল মাহমুদ বলেন, জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের হলফনামা দেখে কালোটাকা টাকা চিহ্নিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা সংগ্রহ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেগুলো নিয়ে প্রাথমিক বিশ্লেষণও করেছে। যাদের হলফনামায় অসংগতি আছে তাদের নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনটাই জানিয়েছেন দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমনে আগামী দুই মাসের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাবে। দুর্নীতি দমনে নতুন সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার তাঁদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে বলে জানান দুদক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, সরকারের দুর্নীতি বন্ধের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সর্বশক্তি নিয়োগ করবে দুদক।

মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়া অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুদকের অবস্থা কী হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, অভিযোগ থাকলে আমরা অনুসন্ধান করব, দৃশ্যমান করব। শুধু পুরোনো নয়, যাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ পাওয়া যাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতির মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে আরেক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, শুধু বেসিক ব্যাংক নয়, আর্থিক খাতের সব দুর্নীতি বন্ধে কাজ করবে দুদক। এ বছর আর্থিক দুর্নীতির ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া নিয়োগ বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য, কমিশন বাণিজ্যসহ সেখানেই দুর্নীতির গন্ধ পাওয়া যাবে সেখানেই দুদক হাজির হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।তবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, কোনো বড় প্রকল্প কিংবা জনবল নিয়োগের বিষয়ে দুদক সরাসরি সম্পৃক্ত হবে না। তিনি বলেন, আমরা দেখব এবং ধরব। সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অঙ্গীকার প্রসঙ্গে নিজের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমার বিশ্বাস এ সরকার দুর্নীতির রশি টেনে ধরবে। মর্নিং শোজ দ্য ডে।