গাজীপুরের কালীগঞ্জে পূর্বশত্রুতার জেরে এক জেলেকে হত্যা করে লাশ জালে পেঁচিয়ে ইট-পাথর বেঁধে শীতলক্ষ্যা নদীতে পানিতে ডুবিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় বাবা ও ছেলেসহ তিনজনকে আটক করে মঙ্গলবার পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। আটককৃতরা হলো- কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ নারগানা এলাকার পরিমল (৫০), তার ছেলে পাপন (২০) ও তাদের প্রতিবেশি অলক (৩০)।

জামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান খান ওরফে ফারুক মাস্টার ও বোরহানের শ্যালক মো. মামুন জানান, গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ নারগানা এলাকার জেলে বোরহান শীতলক্ষ্যা নদীতে রাতভর মাছ ধরার জন্য বুধবার বিকেলে নৌকা ও জাল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিনও বোরহান বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন আশে-পাশে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করতে থাকে। কিন্তু কোথাও সন্ধান না পেয়ে তার স্ত্রী কালীগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় নারগানা গুদারাঘাট এলাকায় অলকের সঙ্গে মামুনের কথা বলার সময় অলক বোরহানকে নিয়ে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে শুরু করে। একপর্যায়ে সন্দেহ হলে অলককে আটক করে মামুন ও এলাকাবাসী জামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান খানকে খবর দেয়। পরে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে অলক বুধবার রাতে নৌকায় শাবল দিয়ে বোরহানের মাথায় আঘাত করে হত্যার পর জাল দিয়ে তার লাশ পেঁচিয়ে তাতে ইট-পাথর বেঁধে নৌকাসহ নদীর পানিতে তলিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ দক্ষিণ নারগানা এলাকা থেকে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পরিমল ও তার ছেলে পাপনসহ অলককে আটক করে। চেয়ারম্যান আরো জানান, এক বছর আগে নৌকাও জাল চুরির ঘটনা নিয়ে পরিমলদের সঙ্গে বোরহানের শত্রুতা সৃষ্টি হয়।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে বিকেল পৌণে ৩টার দিকে টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের তিন সদস্যের ডুবুরী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে নদীতে তল্লাশী অভিাযান শুরু করে। অন্ধকার হওয়ায় সন্ধ্যায় তারা নদীতে তল্লাশী অভিযান স্থগিত করে। পরদিন বুধবার এ অভিযান আবার শুরু হবে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আবু বকর তিনজনকে আটকের কথা স্বীকার করলেও বিস্তারিত বলতে রাজি হননি।