আজ ২৩ বঙ্গবন্ধু দলীয় কার্যালয়ে সকাল ১০.০০টায় যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিন শাখার বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী জননেতা ওবায়দুল কাদের এমপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে ভোট চুরির অভিযোগের জবাবে বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেপরোয়া চালক, নির্বাচনে কারচুপির জন্য আমাকে স্টেডিয়াম গিয়ে ক্ষমা চাইনে বললেন, মির্জা ফখরুল বেপরোয়া চালক কখন যে কোন দুর্ঘটনা ঘটায়, সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। দশ বছরে যে মহাসচিব দশ মিনিটের একটা আন্দোলন দাঁড় করাতে পারেনি, যে মহাসচিব জাতীয় নির্চাচনে তিনশত আসনের মধ্যে দশটিরও কম আসন পায়। আন্দোলনে ব্যর্থতা, আন্দোলনে ক্ষমতাহীন ব্যর্থতা, নিবার্চনে শোচনীয় পরাজয়, লজ্জা শরম থাকলে আপনার আরো আগে পদত্যাগ করা উচিৎ ছিলো। আমাকে ক্ষমা চাইতে বলেন কোন দোষে? রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বতস্ফুর্ত গন জাগরণ ভালো লাগছে না? ভালো তো লাগবেই না। এই অভুতপূর্ব ফলাফল পঁচাত্তর পরবর্তীকালে এই গনজাগরন বাংলাদেশে কেই আর কখনও দেখেনি। জনগনের রায়কে জনগনের এই অভুতপুর্ব এই বৈপ্লবিক বিজয় রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই বিজয়কে যারা প্রত্যাক্ষয়ন করে তাদেও জাতির সামনে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। তিনি আরো বলেন লজ্জা শরম নেই তো, পদত্যাগ করবে না, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে মির্জা সাহেব আপনি যে জিতলেন, কারচুপি হলে সেখানে আপনি কেমন করে জিতলেন, এটার জবাব দিন।
তিনি আরো বলেন নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপর অভিযোগ এনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবি যে, প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা প্রত্যাখান করে বলেন গল্প বানাচ্ছেন, অলীক, অবিশ^াস্য রুপকথার কাহিনী সাজাচ্ছেন, নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়নি। স্বচ্ছ ব্যলট বক্স ব্যবহার করা হয়েছে, আপনাদের অথবা প্রতিপক্ষের একজন প্রতিনিধি নির্চাচনের দিন যখন ভোট গ্রহন শুরু হয় তখন কি একটি কেন্দ্রেও চ্যালেঞ্জ করেছে, একজন এজেন্টও কি প্রতিবাদ করেছে। টিআইবির কোন প্রতিনিধি কি কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে প্রতিবাদ করেছে? স্বচ্ছতার বিরুদ্ধে কথা বলছেন তাও এতদিন পরে। তখন বলেননি তখন কোন কারন খুজে পাননি, এতদিন পরে এই অলীক অবিশ^াস্য রুপকথার কাহিনী কেন সাজাচ্ছেন, আমরা তা জানি, এর রহস্য আমরা জানি, এর জবাব বাংলাদেশের জনগনই দেবে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন রাষ্ট্রনায়ক বিশ^নেতা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীন টানা তৃতীয়বারের মতো দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে। জনগণের এই বিপুল ম্যান্ডেট আসলে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার অভাবনীয় নেতৃত্ব, অসাধারণ উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং অনন্য কর্মউদ্যোগের স্বীকৃতি। একটা কথা আমাদের সবাইকে বুঝতে এবং জানতে হবে, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এখন দলের উর্ধ্বে চলে গেছেন। তিন এখন প্রকৃত জনগণের নেতা হিসেবে আর্বিভূত হয়েছেন। তাই এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে গেলে শেখ হাসিনার চিন্তা, দর্শন উপলব্ধি করতে হবে। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার রাজনীতি হলো ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’। ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ তার রাজনৈতিক দর্শন। ২০১১ সালে এই দর্শন বিশ^শান্তির দর্শন হিসেবে জাতিসংঘে সর্বসম্মত স্বীকৃতি পায়। এই দর্শণে তিনি সব ভেদাভেদ উপড়ে ফেলার চিন্তা করেছেন। সব মানুষের জন্য, তাদের মতামতের ভিত্তিতে একসাথে এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা জনগণের ক্ষমতায়ন এর মূল কথা। আওয়ামী লীগকে বুঝতে হবে, দেশের মালিক এখন জনগণ, আওয়ামী লীগ নয়, এটাই শেখ হাসিনার দর্শন। এজন্য তিনি শুধু দল দেখেন না, দেখেন জনস্বার্থ। একারণেই আমাদের কাজ করতে হবে জনগণের জন্য। আমরা এখন প্রজা, জনগণ রাষ্ট্রের মালিক। তাই আমি নেতা কর্মীদের বলি কেউ জনগণের উপর খবরদারি করার চেষ্টা করবেন না, সাবধান। জনগণের স্বার্থে শেখ হাসিনা আপনাকে বিসর্জন দেবে। দাপট দেখাতে যাবেন না, দম্ভ করবেন না, তাহলে বিপদে পরবেন। এখন জনগণের সাথে কেউ খারাপ আচরণ করলে তাকে ক্ষমা করা হবে না। এটাই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দর্শণ।
আমরা যেমন বলি, বঙ্গবন্ধুকে বুঝতে গেলে তার অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়তে হবে, কারাগারের রোজনামচা পড়তে হবে। তে¤িœ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার রাজনীতি বুঝতে গেলে, তার দর্শন ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ পড়তে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগ এই রাষ্ট্রদশৃন আবিস্কার করেছে একটি সুনির্দিষ্ট গবেষণার মাধ্যমে। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো সেই গবেষণা গ্রন্থটি পড়–ন। না হলে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে বুঝতে পারবেন না। তাহলে, বেপরোয়া হয়ে উঠবেন। জনগণকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবেন, তখনই বিপদে পরবেন। মনে রাখবেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এই নির্বাচনে জনগণকে ক্ষমতায় বসিয়েছেন, আওয়ামী লীগকে নয়।
আমাদের ইতিবাচক ধারনা নিয়ে কাজ করতে হবে। দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে। নির্বাচনোত্তর অপপ্রচারের জন্য আমাদের সজাগ সচেতন থাকতে হবে। গণরায়কে সম্মান করতে হবে।
দলের শৃঙ্খলাবিরোধ কর্মকান্ডকে প্রতিহত করতে হবে। ১৯ জানুয়ারি শেখ হাসিনার জনসভাকে সফল করতে হলে-আমাদের প্রয়োজন শৃঙ্খলা সবুজ ক্যাম্প, হাতে দলীয় পতাকা নিয়ে সকাল ১১টায় মাঠে অবস্থান করতে হবে। নেত্রী যাওয়ার পর মাঠ ছাড়বো আমরা।
ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিন সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাট ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার এর পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনূর রশীদ, কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিন শাখার সহ সভাপতি মাইনউদ্দিন রানা, সোহরাব হোসেন স্বপন, সারোয়ার হোসেন মনা, হারুনুর রশীদ, কামাল উদ্দিন খান, এনামুল হক আরমান, দীল মোহাম্মদ খোকা, মুরসালিন আহম্মেদ, যুগ্ম সম্পাদক ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু, গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, মাকসুদুর রহমান, কাজী ইব্রাহীম খলিল মারুফ, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আরমান হক বাবু, এমদাদুল হক এমদাদ, এড. শাহানাজ পারভীন হীরা, সৈয়দ মার্সীদ শুভ, আলতাব হোসেন, খন্দকার আরিফ-উজ-জামান প্রমুখ।