তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে হেরে গিয়ে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই তারা এসব কথাবার্তা বলছেন। তারা জানতেন নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হবে। এটা জেনেই তারা ৩০০ আসনে ৮০০ প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ। তারা নির্বাচনে প্রচারণায় নামেনি, তাদের লক্ষ্য ছিল অংশগ্রহণ করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।

সোমবার (২১ জানুয়ারি) নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে বিশদ বর্ণনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, এবারের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। অতীতে কখনও এ ধরনের নির্বাচন হয়নি। এবারের নির্বাচনে কোনও পুলিশ হতাহত হয়নি। এবারের নির্বাচন ছিল উৎসবমুখর।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে বহুমাত্রিক প্রচারণা করেছে। প্রার্থীরা মোবাইলেও প্রচার করেছেন, কিন্তু বিএনপি তা করেনি। অনেক জায়গায় তারা পোস্টারই লাগায়নি। তাই বিএনপি নেতাদের বলবো, প্রতিদিন প্রেস কনফারেন্স করে নিজেদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব প্রমাণ না করে কেন নির্বাচনে হারলেন, কেন প্রার্থীরা প্রচারণা চালাননি, কারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে, এগুলো বিচার বিশ্লেষণ করুন। এগুলো দরকার। বিএনপির এমন শোচনীয় পরাজয় আমরাও আশা করিনি। তাই বিএনপি নেতাদের আবারও বলবো নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকার মতো কথাবার্তা না বলে বিচার-বিশ্লেষণ করুন।
ওয়েজবোর্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগ একই থাকলেও সরকার নতুন। তাই কমিটি পুনর্গঠন করা প্রয়োজন। আর এ কারণেই পুনর্গঠন করা হয়েছে। ওয়েজবোর্ড দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আমরা এটি করেছি, এবং তা প্রথম বৈঠকেই করেছি। কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে এটি বাস্তবায়নে কী কী করা যায়। আমাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। আমাদের কিছুটা সময় দিন। আজকে সবেমাত্র কমিটি হলো। আইনগত বিধিবিধান মেনে ২৮ তারিখের মধ্যে কী প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব?