কক্সবাজারের টেকনাফ ও মহেশখালী উপজেলায় তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, এদের মধ্যে দুজন মাদক ব্যবসায়ী আর একজন ডাকাত।বৃহস্পতিবার ভোরে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়াঘাট এলাকায় এবং মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের শামলাপুর ঢালায় এ দুটি কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।এর মধ্যে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন দুই মাদক ব্যবসায়ী আর পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন এক ডাকাত।

নিহতদের মধ্যে শুধু মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের হংসু মিয়াজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা হেলাল উদ্দিনের পরিচয় জানা গেছে। পুলিশ দাবি করেছে, তিনি একজন চিহ্নিত ডাকাত।

টেকনাফ উপজেলার কথিত বন্দুকযুদ্ধ সম্পর্কে সেখানকার র‌্যাব-৭ কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মীর্জা সাহেদ দাবি করেন, ইয়াবা পাচারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব সদস্যরা উপজেলার বাহারছড়াঘাট এলাকায় অভিযান চালান। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালালে মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটে।এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুই যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাঁদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

র‌্যাব কর্মকর্তা আরো দাবি করেন, ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা, দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান ও ১৪টি গুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাব।অন্যদিকে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর দাবি করেছেন, ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলার শামলাপুর ঢালায় অভিযানে যায়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে হেলাল উদ্দিন আহত হন। আজ ভোর সাড়ে ৪টায় এ ঘটনা ঘটে। প্রায় এক ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধ চলে।

ওসি আরো দাবি করেন, আহত হেলালকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশে তৈরি পাইপগান, একটি লম্বা বন্দুক ও ১২টি খালি খোসা উদ্ধার করেছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।হেলালের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১৪টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।